বৃটেনে গত নভেম্বর মাসে ছিলো চার সপ্তাহের লকডাউন। এরপর সব কিছু ছিলো ঠিকটাক। প্রস্তুতি চলছিলো ক্রিসমাস পালন ও ইউরোপ থেকে ব্রিটেনে আসার। হঠাত এ মাসের শুরুতে মাহামারি আকার ধারণ করে ভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন। প্রতিদিন বাড়তে থাকে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এমন খবরে ইউরোপসহ বিশ্বের প্রায় ৪০ টিরও বেশি দেশ গত রবিবার থেকে বৃটেনের সাথে সকল ধরণের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে দেশটির সাথে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় কপাল পুড়েছে বাংলাদেশিদের। শুধু বাংলাদেশি নয়,পাকিস্থান,ভারত,শ্রীলংকা,মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার ইউরোপিয়ান নাগরিকদের।
আগামী ৩১শে ডিসেম্বরের আগে ফ্লাইট চালু না হলে তাদের বৃটেনে স্থায়ী হওয়ার আশা অপূর্ণ থেকে যাবে। নাগরিকত্ব নেয়ার পাশাপাশি সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার স্বপ্নও ভেঙ্গে চুরমার হওয়ার পথে।
এদিকে,আর মাত্র ছয় দিন পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন নাগরিকদের বৃটেনে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ শেষ হচ্ছে। ফ্লাইট চালুর আশাও দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে ৩১শে ডিসেম্বরের ভিতরে আবেদকারীরা বৃটেনে অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাস ও কাজ অধিকার পাবেন। ৩১শে ডিসেম্বর থেকে দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপ থেকে আলাদা হয়েছে যাবে। অচলাবস্থার পর বার বার সময় বৃদ্ধি করে অবশেষে ব্রেক্সিট বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বৃটেন।
অপরদিকে, যে সকল ইউরোপীয় নাগরিক দুই সপ্তাহ আগে স্বপ্নের দেশ বৃটেনে এসেছেন তারাও বেকাদায় পড়েছেন। কারণ দেশটিতে এখন টিয়ার-৪ লকডাউন সমতুল্য বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। যার কারণে বেশীরভাগ সরকারি কাজ এখন সম্পাদন হয় ঘর থেকে। করোনার কারণে সরকারি সকল সার্ভিস চলছে ধীরগতিতে। এই মহামারিতে বৃটেন এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। যার ফলে দেশটিতে কাজ পাওয়া মুসকিল হয়ে পড়েছে।