সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে ঢোল বাজিয়ে মাছ শিকারের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার দিনব্যাপী কালিহাতী উপজেলার কোকডোহরা ইউনিয়নের পোষনা বিলে এই মাছ শিকারের আয়োজন করা হয়। এতে দেশীয় মাছ শিকারের উপকরণ পলো, শিবজাল আর ধর্মজাল নিয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রায় দেড় সহস্রাধিক মাছ শিকারী অংশ নেন।
তবে এটি উৎসবের অংশ হলেও অবাধে বিলের মাছ শিকারের বিষয়ে অবগত নন উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসন।
মাছ শিকারে অংশ নেয়া মধুপুরের মহিষমারা ইউনিয়নের শালিখা গ্রামের মোশাররফ হোসেন বলেন, পোষনা বিলে মাছ শিকারের আয়োজন হয়েছে বলে আমাদের গ্রামে ঢোল মারা হইছে। সংবাদ পাইয়া মধুপুর উপজেলা থেকে আমরা প্রায় হাজার খানেক মানুষ এই বিলে মাছ মারতে আইছি। এই বিলে প্রচুর মাছ পাওয়া যায় এ খবর আমি জানি।
ওই উপজেলার ফজলু বলেন, আইছি, দেহি কয়ডা মাছ পাওন যায়।
পোষনা গ্রামের বাসিন্দা আনিসুল জানান, কয়েক বছর যাবৎ এই বিলে মাছ শিকার করতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষ আসছে। বিলে বড় বড় বোয়াল, রুই, কাতলাসহ দেশীয় বিভিন্ন মাছ পাওয়া যাচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে মাছ মারা শুরু করেছে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ। বিলের মাছ বলে তাদের মাছ শিকারে কেউ বাঁধা দেয় না। যে যার মতো মাছ ধরে। গত দুই বছর যাবৎ এ বিলে দেশীয় পলো, শিবজাল আর ধর্মজাল নিয়ে দলবদ্ধভাবে বিভিন্ন উপজেলা থেকে মাছ মারতে আসছে মানুষ
কোকডোহরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, দেশীয় পলো, শিবজাল আর ধর্মজাল দিয়ে বিলে মাছ ধরা হচ্ছে এমন তথ্য আমি পেয়েছি। তবে কেউ মাছ শিকারের আয়োজন করে বা ঢোল বাজিয়ে দাওয়াত দিয়েছে এ বিষয়টি আমার জানা নেই।
এছাড়াও পোষণা বিলটি কোকডোহরা আর পাইকড়া ইউনিয়নের বর্ডার হওয়ায় কোনো পরিষদেরই এর দেখভালের দায়িত্ব নেই বলেও জানান তিনি।
একই কথা বলেন পাইকড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আজাদ হোসেন।
এ প্রসঙ্গে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, আমি সম্প্রতি এ উপজেলার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এ কারণে বিষয়টি আমার জানা নেই। এছাড়া বিলটি কিভাবে আছে সেটিও আমি জানি না। এরপরও বিষয়টি অবগত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।