হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাটঃ মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে। শিরশির হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে গোটা জেলা। দুর্ঘটনা এড়াতে হেড লাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করছে ছোট-বড় যানবাহন।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, শনিবার লালমনিরহাট সারাদিন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগ নিয়ে জেলা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে রোগীরা। তাদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। রাতের তাপমাত্রা আগের কয়েক দিনের চেয়ে ২-৩ ডিগ্রি কমেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আশরাফুল আলম দোলন জানান, শীতের তীব্রতা যতই বাড়ছে, হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ততই বাড়ছে। গড়ে প্রতিদিন ইনডোর ও আউটডোরে তিন থেকে চার’শ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। তারা কোল্ড ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে।
রংপুর আবহাওয়া দপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন স্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতা কমবে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’
এদিকে, জেলায় ধুম পড়েছে লেপ-তোশক তৈরির। তবে নতুন পোশাক কেনার সামর্থ্য না থাকায় হতদরিদ্ররা ফুটপাতের দোকানগুলোতে পুরাতন শীতের কাপড় কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, শনিবার জেলা সদর হাসপাতালসহ ৫টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগে ৩০ জন নতুন করে ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।