বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেয়ার কথা বলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে তারা এ কথা বলেন।
ভার্চ্যুয়াল বৈঠকটি শুরু হওয়ার পর পরস্পরের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন দুই নেতা। তারা বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের গভীরতা ও গুরুত্ব তুলে ধরেন। এর আগে সকালেই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দু’দেশের মধ্যে ৭টি সমঝোতা চুক্তি সই হয়।
বৈঠকের মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৫৫ বছর দু’দেশের মধ্যে বন্ধ থাকা চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগ পুনরায় চালু হয়েছে। আপাতত: পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর সম্মানে ভারতের ডাক বিভাগ স্ট্যাম্প উদ্বোধন করেছে।
বৈঠকে করোনা মোকাবেলায় দু’দেশ একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
করোনা মহামারিতেও দুই দেশ একসাথে এগিয়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি আগামী ২৬শে মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ঢাকায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় ভারতকে পাশে পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশের দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ককে সবসময় প্রাধান্য দেয় ভারত। বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন পাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।