করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আবারও বিপাকে ফেলছে বিশ্বকে। মহামারি মোকাবেলায় আবারও লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে অনেক দেশ। এরইমধ্যে নেদারল্যান্ডস ও জার্মানিতে বুধবার থেকে নতুন করে লকডাউন কার্যকর হয়েছে। আর প্রথমবারের মতো জরুরি অবস্থা জারি করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। এছাড়া বড়দিন উপলক্ষে ইতালিসহ বিভিন্ন দেশ কড়া সতর্কতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে, ফ্রান্সে ইতোমধ্যে রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। কারফিউ অনুযায়ী রাত ৮টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত লোকজন বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না। তবে বড়দিন উৎসবে এই কারফিউ কার্যকর না থাকলেও নববর্ষের উৎসবে কার্যকর থাকবে। এছাড়া ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বার ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকার নির্দেশ জারি থাকার কথা বলা হয়েছে।
বড়দিন উপলক্ষে পূর্ব সতর্কতাস্বরূপ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি সরকার। দেশটিতে দ্বিতীয়বারের মতো এই কার্যকর হওয়া এই বিধিনিষেধ চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। এর আওতায় স্কুল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া বাকি সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ১১ মাসে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখল বিশ্ব
দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে ‘জরুরি অবস্থা’ বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বাড়তে থাকায় প্রথমবারের মতো লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জনগণকে এমন কঠোর স্বাস্থ্যবিধির হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট সাত কোটি ৪৫ লাখ ২৬ হাজার ৮০৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন পাঁচ কোটি ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ১০ জন।