হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে দরজার লক কেটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ ডিসেম্বর দিবাগত ভোর রাতে উপজেলার কাকিনা চাঁপারতল এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়িতে। এ ঘটনায় গরুর মালিক বাদী হয়ে গত ১০ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, প্রতিদিনের ন্যায় জাহাঙ্গীর হোসেন খাওয়া দাওয়া করে পরিবার সহ ঘুমিয়ে পরেন। ওই রাতেই জাহাঙ্গীর হোসেনের উঠানে থাকা গোয়াল ঘরের দরজার লক কেটে কে বা কাহারা।একটি মাটিয়া রঙের গরু(গাভ),একটি লাল রঙের গরু(গাভ), একটি দামড়ি বাছুর ও একটি আড়িয়া বাছুর সহ মোট চারটি গরু চুরি হয়ে যায় যাহার অনুমান মূল্য ১লক্ষ ৮০হাজার টাকা।
ওই রাতে ভোর চারটার পর ঘুম থেকে উঠে বাহিরে এলে জাহাঙ্গীর হোসেন দেখতে পায় গোয়াল ঘরের দরজা খোলা,তালা নেই। এমন চিত্র দেখে তিনি দরজার সামনে এসে দেখতে পায় দরজার লক কাটা ভিতরে শূন্য গোয়াল। কে বা কাহারা তার গোয়ালে থাকা চারটি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। এ সময় তার চিৎকার শুনে হেলাল মিয়া,গেন্দা শেখ এবং আমজাদ হোসেন সহ অনেকে ঘুম থেকে উঠে এসে দেখতে পায় একই চিত্র।
চুরি যাওয়া গরু গুলোর বিবরণ,একটি লাল রঙের গাভী(গাভ) দুই দাঁত,শিং ছোট লেজ কালো,একটি মাটিয়া রঙের গরু (গাভ) চার দাঁত শিং ছোট লেজ কালো, একটি লাল রঙের দামড়ী অদাত শিং নাই লেজ কালো,একটি লাল রঙের দামড়া বয়স অদাত শিংনাই লেজ কালো।
এ বিষয়ে গরুর মালিক জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী শেফালী বেগম জানান, গরু চুরি হওয়ার রাতে একটি গরুর বাছুর হবে বলে আমি রাত ২.১০মিনিটে উঠে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখে আসি। পরে বাসায় এসে আবার শুয়ে পড়ি,ভোরে উঠে দেখি গোয়ালে গরু নাই।, চুরির এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।,’ চুরি হওয়ার ঘটনার সাথে স্থানীয় একজনকে সন্দেহ করেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে গরুর মালিক জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি গোয়ালে গরু নাই,” আমার ডাকে প্রতিবেশিরা উঠে আসে।অনেক খোঁজা খুঁজির পর গরু না পেয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশ ঘটনা স্থন পরিদর্শন করে যায়।,
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরজু মো.সাজ্জাদ হোসেন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।