গিয়াস উদ্দিন (৫০) পৌর এলাকার ভাংনাহাটি নতুন বাজার এলাকার মৃত হাজী আব্দুল মালেকের ছেলে।
নিহতের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম জানান, গিয়াস উদ্দিন দীর্ঘদিন যাবৎ ওই এলাকায় নিজের গ্যারেজে নতুন ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা নির্মাণ ও অটোরিক্সার বৈদ্যুতিক চার্জের কাজ করতেন। রাতে সে একাই ওই গ্যারেজে ঘুমাতেন। শনিবার সকালে তাঁর ছেলে নিহতের ভাতিজা সুমনসহ অপর চালক চার্জ দেয়া অটোরিক্সা আনতে যান। এসময় গ্যারেজে গেট খোলা দেখতে ভেতরে যান এবং গিয়াস উদ্দিনের শরীরের উপরের অংশ কম্বল দিয়ে ঢাকা ও পা খোলা অবস্থায় দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করেন। এসময় তাঁর কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে তারা বাড়ির লোকজনকে খবর দেন। পরে বাড়ির লোকজন এসে রক্তাক্ত অবস্থায় নিথর দেহ পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
ঘটনাস্থল শ্রীপুর থানা পুলিশের একাধিক টিম, পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিট, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ও র্যাব হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছেন।
পুলিশের ক্রাইন সিন ইউনিটের পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন জানান, নিহতের মাথায় ভোঁতা ও ধাঁরালো অস্ত্রের তিনটি আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে হত্যাকান্ডের ঘটনায় একাধিক হত্যাকারী যুক্ত থাকতে পারে।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র সরকার জানান, ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির একটি রক্ত মাখা ফুল হাতা শার্ট উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।