বিশ্বকাপের আয়োজক কাতারের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ নিয়ে দেশের ফুটবল সমর্থকদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। তবে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দু’দলের দূরত্বের মতোই মাঠের পারফরমেন্সের পার্থক্য স্পষ্ট। ৫৯ নম্বরে থাকা কাতারের কাছে ৫-০ গোলে হেরেছে ১৮৪তম স্থানে থাকা বাংলাদেশ। শুক্রবার দোহায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে দেখা যায়নি লাল-সবুজদের লড়াকু ফুটবল। বড় ব্যবধানে হারলেও আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। কাতারিদের আক্রমণের ঝড় সামলেছেন দুর্দান্ত দক্ষতায়। গোলপোস্টের নীচে জিকোর দারুণ নৈপুণ্যে হারের ব্যবধান আরো বড় হয়নি।
আরো পড়ুন:পরিসংখ্যানই শুধু সান্ত্বনা জামাল ভূঁইয়াদের
বসুন্ধরা কিংসের জার্সিতে পরীক্ষিত তিনি। ঘরোয়া ফুটবলে নিজেকে প্রমাণের পর এএফসি কাপেও আলো ছড়িয়েছেন।
গতবছর এএফসি কাপে খেলা একমাত্র ম্যাচে সেভ করেন তিন পেনাল্টি। তবুও সুযোগ মিলছিল না জাতীয় দলের জার্সিতে গোলপোস্ট আগলানোর। অবশেষে কপাল খোলে গত মাসে নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে। গোলশূন্য ড্র হওয়া সেই ম্যাচ দিয়েই জাতীয় দলে অভিষেক। মাত্র এক ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে। প্রতিযোগিতামূলক অভিষেক ম্যাচে আলো ছড়ালেন। পাঁচ গোল হজম করলেও তাতে নিজের দায় ছিল সামান্যই। কখনো পায়ের দুর্দান্ত রিফ্লেক্সে। আবার কখনো কাতারের ফরোয়ার্ডদের কাছ থেকে নেয়া হেড ঠেকিয়ে দিয়েছেন বিশ্বস্ত হাতে। দুরপাল্লার কয়েকটি গতিময় শটও আটকে দিয়েছেন।
ম্যাচে কাতার আক্রমণ করেছে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। বাংলাদেশ মূলত এ ম্যাচে নেমেছিল গোলপোস্ট আগলাতে। দলের সবাই মিলে সে চেষ্টা করে গেলেও ব্যর্থ হয়েছেন। স্বাগতিকদের দ্রুতগতির ফুটবল আর জায়গা বদল করে খেলার কাছে বারবার পরাস্ত হয়েছেন লাল-সবুজ ফুটবলাররা। কাতার পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৩২টি! যার অর্ধেকই ছিল লক্ষ্যে। জিকো ঠেকিয়েছেন ১২ শট। পাঁচ গোলের একটি হজম করতে হয়েছে পেনাল্টি থেকে। কাতারের আক্রমণের ঢেউ সামলাতে গিয়ে আহত হয়ে একাধিকনার চিকিৎসা নিয়েছেন মাঠেই। শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়েছেন। বড় হতে দেননি হারের ব্যবধান।
প্রতিযোগিতামূলক অভিষেক ম্যাচে আলো ছড়ানো পারফরমেন্স। আশার প্রদীপ হয়ে কক্সবাজারের এই তরুণ স্বপ্ন দেখাচ্ছেন দেশের ফুটবলপ্রেমীদের।