ভাসানচর যাওয়ার জন্য কক্সবাজারের উখিয়া থেকে নিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জাহাজে তোলা হচ্ছে। তিনটি ঘাট দিয়ে তাদেরকে জাহাজে তুলছেন নৌবাহিনীর সদস্যরা।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে এসব রোহিঙ্গাদের জাহাজে তোলার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে কখন রোহিঙ্গাদের নিয়ে জাহাজগুলো ভাসানচরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে তা জানা যায়নি।
এর আগে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নিতে এসব রোহিঙ্গাদের ২০টি বাসে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের রাখা হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনী রেডি রেসপন্স বাথ ও বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠে অস্থায়ী ‘ট্রান্সজিট ক্যাম্পে’।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে ছেড়ে আসা এসব বাসকে নিরাপত্তা দিয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত নিয়ে এসেছে পুলিশ। চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের জাহাজে করে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পতেঙ্গায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী রেডি রেসপন্স বাথ ও বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠ এলাকায় দেখা গেছে, তাবু টাঙিয়ে অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নেওয়ার পথে চট্টগ্রামে প্রয়োজনে রাখা হবে এবং তাদের রাখার বিষয়টি নৌবাহিনী তত্বাবধান করবে এবং নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, বৃহস্পতিবার কিছু রোহিঙ্গাকে নিয়ে আসা হয়েছে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরা তাদের নিয়ে আসার পথে নিরাপত্তা বিধান করেছি। তাদের যে বেজগুলোতে রাখা হয়েছে সেখানে সংশ্লিষ্ট বাহিনী তত্বাবধান করছে।