ভারতের বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ছিলেন কৃষকদের একাংশ। দিল্লি-হরিয়ানা সীমানার সিঙ্ঘুতে অবশ্য আগের মতোই বিক্ষোভ চলছিল। সেখানে কৃষকদের সঙ্গে বিক্ষোভে শামিল হতে যান শাহিনবাগের ‘দাদি’ হিসেবে খ্যাতিমান হয়ে ওঠা বিলকিস বেগম। কিন্তু সিঙ্ঘু সীমানায় পৌঁছতেই তাকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। পরে পুলিশের একটি দল বিলকিসকে দক্ষিণ দিল্লির বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
নতুন তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত ছয় দিন ধরে রাজধানীতে আন্দোলন করছেন হাজার হাজার পুলিশ। দিল্লির-পাঞ্জাব এবং দিল্লি-হরিয়ানা সীমানাতেও বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন বহু মানুষ। তাদের দাবিকে সমর্থন জানাতেই আন্দোলনে অংশ নিতে ছুটে গিয়েছিলেন ৮৩ বছরের বিলকিস বেগম। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘কৃষকের ঘরে জন্ম আমাদের। কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য। সরকারকে আমাদের কথা শুনতে হবে।’’
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) এবং জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর) বিরোধী আন্দোলনে গত বছরের শেষ দিকে ভারতের রাজধানী যখন তেতে ওঠে, সেই সময় খবরের শিরোনামে উঠে আসেন বিলকিস। দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে শাহিনবাগে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হওয়া মহিলাদের মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তার জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি বিশ্বের ১০০ জন সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকাতেও উঠে আসেন তিনি।
সেই বিলকিস বেগমের কৃষক আন্দোলনে শামিল হওয়া নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই জল্পনা চলছিল। ঠান্ডা অগ্রাহ্য করে দিল্লি পুলিশের পানি কামানের সামনে কৃষকরা যখন রুখে দাঁড়ান, ওইসময় বিক্ষোভে শামিল এক মহিলাকে বিলকিস বানু বলে দাবি করেন গেরুয়া শিবিরের লোকজন। মুহূর্তের মধ্যে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ১০০ রুপি ফেললেই শাহিনবাগের ‘দাদি’-কে পাওয়া যায় বলে সে সময় কটাক্ষ করেন বিজেপি-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কঙ্গনা রানাউতও। পরে যদিও দেখা যায়, ওই মহিলা বিলকিস নন।
এ বার প্রকৃত বিলকিস সামনে এলেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা