ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মাথাচাড়া দিতে দেয়া হবে না। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ছাত্রলীগ আয়োজিত উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসবিরোধী এই বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জয় বলেন, জাতির পিতাকে না পেলে আমরা বাংলাদেশকে পেতাম না। জাতির পিতার ভাস্কর্য নিয়ে যারা কথা বলেন তারা মূর্তি আর ভাস্কর্যের সংজ্ঞাই জানেন না। আমাদের নবীজি কখনও বলেননি কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে। তাহলে কীভাবে আপনারা অন্যের ধর্মকে নিয়ে খারাপ কথা বলেন। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মাথাচাড়া দিতে দেয়া হবে না।
সমাবেশে ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসাইন বলেন, একাত্তর সালে চারটি মূলনীতির জন্য বাংলাদেশের ৩০ লাখ শহীদ প্রাণ দিয়েছেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষবাদসহ চারটি মূলনীতি নিয়ে নতুন করে তালবাহানা করার কিছু নেই।
একাত্তর সালেই আমরা এর মীমাংসা করেছি। বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে। আজকে আমরা মৌলবাদী তাবেদার শক্তির আস্ফালন দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের সমাজকে রক্ষণশীলতার চাদরে আবদ্ধ করার জন্য যড়যন্ত্র চলছে। একাত্তর সালে যাদের আমরা পরাজিত করেছি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আজকে তাদের আস্ফালন। আজকে আমরা শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের বলে দিতে চাই, আমরা যেমন বাঙালি মায়ের শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে হয়ে থাকতে জানি, তেমনি মৌলবাদকে প্রতিহত করতে আকাশ থেকে বজ্র হয়েও ঝরতে জানি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা উত্তর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের আহমেদসহ বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত ১৩ই নভেম্বর রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে শানে রিসালাত কনফারেন্সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে তা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক।