ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহারে হুমকি! অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল মালিকের বিরুদ্ধে ভিকটিমের জিডি

Slider টপ নিউজ


গাজীপুর: জেলার শ্রীপুরে পোষাককর্মী ধর্ষণ মামলার আসামী ১৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি,গ্রেফতারে যায়নি পুলিশও। আসামীপক্ষের কঠিন চাপের মুখে অবশেষে ভিকটিমকে ভাড়া বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। নতুন জায়গায় গিয়ে ভিকটিম মামলা প্রত্যাহারে হুমকি ও নিরাপত্তা চেয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে শ্রীপুর মডেল থানায় ভিকটিম উপস্থিত হয়ে জিডি দায়ের করেন।

রেকর্ডকৃত জিডি ও ভিকটিমের তথ্যমতে, জিডিতে প্রধান আসামী শাকিল প্রথান। অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম।পদ্ধা ডিজিটাল ডায়গনষ্টিক হাসপাতালের পরিচালক ও মামলার প্রধান আসামীর পিতা শহীদুলালাহ প্রথান সহ মোট ৫ জনকে আসামী করা হয়।

ভিকটিম জানায়, রফিকুল ইসলাম সহ একাধিক আসামীর কল রেকর্ড আছে।

এ ব্যাপারে শ্রীপুর মডেল থানার পরিদর্শক( অপারেশন) গোলাম সবুর বলেছেন, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত: জেলার শ্রীপুর উপেজলায় ধর্ষিতা পোষাককর্মী এখন অন্ত:সত্বা। ভিকটিমের ভাষ্যমতে, একাধিকবার ধর্ষণের মধ্যো দুইবার ধর্ষক তার বাবার হাসপাতালে ডাক্তারের চেম্বারে ধর্ষণ করেছে।

প্রথম ধর্ষণের ভিডিও ফেরত দেয়ার কথা বলে চার বছর ধরে চলে ধর্ষণ। ভিডিও দেখিয়ে জিম্মি করে হাতিয়ে নেয় ভিকটিমের চার বছরের যাবতীয় উপার্জন( ৮ লাখ টাকার বেশী)। অবশেষে অন্ত:সত্বার কথা বলায় ধর্ষক বিয়ের কথা বলে বাড়িতে নিয়ে পরিবারের লোকজন দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া ভিকটিমকে। এরপর থেকে ধর্ষক পলাতক। অত:পর একটি কলেজে হাসপাতালের পরিচালক কাম অধ্যক্ষ আপোষের কথা বলে একাধিকবার করেন দেনদরবার। টাকার বিনিময়ে ওই অধ্যক্ষ মামলা না করার জন্য চাপ দেয় ভিকটিমকে। অত:পর মামলা হলেও পুলিশ কোন আসামী ধরছে না। উল্টো ভিকটিমকে মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে এলাকা ছাড়া করার মিশন চলছে। ফলে নিরাপত্তাহীন হয়ে ভিকটিম প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ঘটনাটি শ্রীপুর থানাধীন বেড়াইদের চালা গ্রামের।

ভিকটিম জানায়, ২৫ হাজার টাকা বেতনে তিনি এসকিউ নামক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতেন। একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতেন শাকিল প্রধাণ। সহকর্মীর পরিচয় থেকে ফোনে ও ফেসবুকে ঘনিষ্ঠতা। তারপর প্রেম। বিয়ের কথা বলে প্রথম ধর্ষণ। ধর্ষকের সহযোগী ৪ বন্ধু রাজিব, শামিম, সাখাওয়াত, সোহাগ করেন ধর্ষণের ভিডিও। আর এই ভিডিও দেখিয়ে ৪ বছর ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ। প্রাইভেট গাড়িতে করে বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের ঘটনা। বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের মধ্যো দুইবার ধর্ষণ হয় পদ্মা ডিজিটাল হাসপাতালে ডাক্তারের চেম্বারে।

পদ্মা ডায়গনষ্টিক হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, হাসপাতালের ৫ জন মালিক। ৫ জনের মধ্যো ধর্ষকের পিতা শহীদুল্লাহ প্রধান ও ফুফা অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম দুইজনই পরিচালক। পরিচালকের ছেলে হিসেবে শাকিল প্রথান ডাক্তারের চেম্বার ব্যবহার করতেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের ম্যানেজার কামরুল হাসান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *