এএসপি আনিসুল হত্যা : মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের রেজিস্ট্রার গ্রেফতার

Slider বাংলার মুখোমুখি

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা: আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, মঙ্গলবার সকালে শেরেবাংলা নগর সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

হারুন অর রশিদ জানান, মামুনের পরামর্শেই দালালের মাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুলকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। আনিসুল করিম চিকিৎসা নিতে প্রথমে সরকারি হাসপাতালে (জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে) গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ডা: মামুনের পরামর্শে তাকে আদাবরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। ডাক্তার মামুন মাইন্ড এইড হাসপাতাল ছাড়াও টাঙ্গাইলের একটি এবং ঢাকার আরেকটি বেসরকারি হাসপাতাল রোগী দেখেন।

গত ৯ নভেম্বর ঢাকার আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে মানসিক রোগের চিকিৎসা নিতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়ে মারা যান এএসপি আনিসুল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আনিসুল উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় কর্মচারীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন।

তবে ঘটনার পর হাসপাতালের ‘অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমে’ আনিসুলকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, আনিসুলকে ছয় থেকে সাতজন মাটিতে ফেলে চেপে ধরে আছেন, দুজন তকে কনুই দিয়ে আঘাত করছিলেন। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদও তখন পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

আনিসুলের মৃত্যুর পর তার বাবা ফাইজ্জুদ্দিন আহমেদ মোট ১৫ জনকে আসামি করে আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার এজাহারভুক্ত ১২ আসামিকে পুলিশ আগেই গ্রেফতার করেছিল। ডা: আব্দুল্লাহ আল মামুনকে নিয়ে মোট ১৩ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হলো।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র আনিসুলের বাড়ি গাজীপুরে; তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন।

এক সন্তানের জনক আনিসুল পারিবারিক ঝামেলার কারণে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে ঢাকার আদাবরের ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন বলে তার স্বজনরা জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *