টাঙ্গাইলের মধুপুরে সামাজিক বনায়নে অনিয়মের অভিযোগ

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি


সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মধুপুরের অরণখোলা রেঞ্জে অরণখোলা বিট বনাঞ্চলের সামাজিক বনায়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্লট নবায়নের নামে ১১-১৪ এ ৩টি উডলকের বরাদ্দকৃত প্লট প্রকৃত উপকারভোগীদের থেকে কৌশলে ছুটিয়ে তাদের বাদ দিয়ে প্লট বিভক্ত করে বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা স্থানীয় কতিপয় দালাল চক্রের সহায়তায় মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে প্রভাবশালীদের কাছে বরাদ্দ দিচ্ছে বলে উপকারভোগী সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেছেন। আর এ নিয়ে মূল প্লট মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক ও সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।

সারেজমিনে গিয়ে জানা যায়, “প্রথম পর্যায়ে স্থানীয়দের মধ্যে সামাজিক বনায়নের প্লটের তেমন চাহিদা না থাকায় প্রত্যেক সদস্যকে প্রতি প্লটে ১ হেক্টর জমি ত্রিশ বছরের নামে চুক্তি পত্রে উল্লেখ থাকলেও সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্থানীয়রা লাভবান হওয়ায় প্লটের চাহিদা বেড়ে যায়। এই সুযোগে বন কমিটি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে রাতারাতি পুর্বের তিনটি কমিটি ভেঙ্গে দ্রুত নতুন কমিটি করে রেজাউল করিম রেজু সম্পাদক হয়ে বন কর্মকর্তার যোগসাজসে প্লট নবায়নের নামে প্লট প্রতি ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয় বলে উপকারভোগী স্থানীয়দের অভিযোগ।”

বিভক্ত প্লটগুলো প্রকৃত উপকারভোগীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই বরাদ্ধের কথা বলে কৌশলে স্বাক্ষর ও কাগজপত্র নিয়ে টাকার বিনিময়ে প্রভাবশালীদের নামে নবায়ন করেন। মধুপুরের শাল, সেগুন ও গজারির বন দেশের তৃতীয় বৃহত্তম বন হিসাবে পরিচিত। বনের কাঠ চুরি বন্ধে এবং বনজ সম্পদ রক্ষার জন্য সরকার ভূমিহীন, দরিদ্র, বিধবা ও দুর্দশাগ্রস্ত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধার লক্ষ্যে ২০০৪ সালে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম শুরু করেন।

স্থানীয় প্রভাবশালীরা অসাধু বন কর্মকর্তাদের সামঞ্জস্যে প্রকৃত উপকারভোগীদেরকে সরিয়ে টাকার বিনিময়ে প্রভাবশালীদের বরাদ্দ দেয়ায় ওয়ার্কশনের আগেই কিছু প্লটের গাছ কেটে সাবাড় করছে দুর্বৃত্তরা। এতে সরকারের মূল লক্ষ্যই ভেস্তে যেতে বসেছে। সামাজিক বনায়নের নব কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজুর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি গাড়ীতে আছেন পরে কথা বলবেন বলে মোবাইল রেখে দেন।

ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক জানান, “যার যার প্লট তারই থাকবে। একজনের প্লট অন্যজনকে দিয়ে ঝগড়ার সৃষ্টি করা হয়েছে। ”

রেঞ্জ কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, “প্লটের এ ঘটনা দু বছর আগে হয়েছে। আমি এখানে নতুন এসেছি বিস্তারিত জানিনা।”

বিভাগীয় বনকর্মকর্তা ড. জহিরুল হক জানান, “এরুপ ঘটনা হয়ে থাকলে এসিএফ এর নিকট তদন্ত ভার দেয়া হবে তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উপকারভোগীর পরিবারে কেহ দুঃস্থ থাকলে তাকেও প্লট দেয়া যেতে পারে, চাহিদার ভিত্তিতে প্লটগুলো বিভক্ত করা হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *