মামলা গ্রহণে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসিকে প্রত্যাহার এবং এক কনস্টেবল বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং কনস্টেবল এমদাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের কাকনহাটি গ্রামের আসাদুজ্জামান লুলু পৈতৃক জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ, ফলজ বাগান ও পানের বরজ করে। প্রতিবেশী নয়ন মিয়ার পরিবারের সাথে লুলুর জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। বিরোধের জেরে লুলুর বাড়িঘর ভাংচুর, হামলা ও জমাজমি দখল করতে পারে এমন আশংকায় গত ২১ অক্টোবর এর প্রতিকার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন আসাদুজ্জামান লুলু।
পরদিন ২২অক্টোবর নয়নসহ তার লোকজন তান্ডব চালিয়ে লুলুর বাড়ির বাগানের গাছপালা, পানের বরজ ভাংচুর বাড়ির টিউওবয়েলটি নিয়ে যায় এবং জমিতে টিনের বেড়া দেয়। এ সময় লুলুর ভাই আবু রায়হান রুমেল বাধাঁদিলে তাকে মারধর করে হামলাকারীরা।
আসাদুজ্জামান লুলুর অভিযোগ, তিনি ও তার চাচাতো ভাই আব্দুল হালিম থানায় গিয়ে ওসিকে বিষয়টি জানালে তিনি তাদের কাছে ২০হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন। টাকা ছাড়া কাজ হবে না বলে জানিয়ে দেন। নিরুপায় হয়ে লুলু ১৭হাজার টাকা ওসিকে দেন। পরে কনস্টেবল এমদাদকেও আরও ১৫০০ টাকা দিতে হয় লুলুর।
বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নজরে আসলে পুলিশ সুপার বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) সাখের হোসেন সিদ্দিকীকে দায়িত্ব দেন।
তদন্তে ঘটনাটির সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় প্রতিবেদন দাখিলের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন