ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথায় এক তরুনীকে (১৮) কৌশলে উঠিয়ে নিয়ে টানা ৫ দিন ধর্ষণের পর নিজেকে বাঁচাতে ভুয়া বিয়ে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে রোববার সালথা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেছেন ওই তরুণীর বাবা। পুলিশ ধর্ষক ও ভুয়াকাজীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গেছে, ওই তরুণীর বাড়ি উপজেলার রামকান্তুপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে। একই উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের এনায়েত হোসেন মৃধার (৪২) সাথে তার মোবাইলফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় সম্প্রতি। এনায়েত হোসেন মৃধা ইতোপূর্বে আরো পাঁচটি বিয়ে করেছে বলে জানা যায়।
মামলার এজাহারে ওই তরুণীর বাবা অভিযোগ করেন, গত ২ অক্টোবর বিকেলে ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে স্থানীয় বাহিরদিয়া বাজার থেকে গাড়িতে উঠিয়ে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় নিয়ে যায় এনায়েত। সেখানে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তারা পাঁচদিন অবস্থান করে। গত ৮ অক্টোবর ঢাকার আশুলিয়া থেকে সালথার পাশের বোয়ালমারীতে উপজেলায় এসে এক ব্যক্তিকে কাজী পরিচয় দেখিয়ে একটি কাবিননামা তৈরী করেন এনায়েত। এতে ওই কাজীর ভাইকে স্বাক্ষী বানানো হয়।
তরুণীর বাবা অভিযোগ করেন, মিথ্যা বিয়ের কাবিননামা সাজিয়ে তার মেয়েকে টানা ৫ দিন উপযুপরী ধর্ষণ করা হয়েছে। এরপর ধর্ষণের অভিযোগ থেকে বাঁচতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা বাড়িতে ফিরে তার মেয়েকে বাড়িতে দিয়ে যায় এনায়েতের পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এনায়েত হোসেন মৃধা একজন মাংস ব্যবসায়ী। তিনি এ পর্যন্ত অন্তত ৫টি বিয়ে করেছেন। তার প্রত্যেক স্ত্রীরই ছেলে-মেয়ে রয়েছে।
সালথা থানার পুলিশ রোববার সকালে প্রথমে এনায়েতকে গ্রেপ্তার করে বোয়লমারী উপজেলার ময়েনদিয়া বাজার এলাকা থেকে। পরে তার দেওয়ার তথ্য অনুযায়ী বোয়ালমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চালিনগর গ্রাম থেকে কথিত কাজী বসিরুল ইসলাম (৪০) ও তার ভাই হোসাইন মোল্লাকে (২৭) গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, মামলা হওয়ার পর এনায়েত, কথিত কাজী ও ‘কাবিননামায়’ স্বাক্ষী ওই কাজীর ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বলেন, কথিত ওই কাবিননামায় স্বাক্ষী হিসেবে আরো দুইজনের নাম রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।