ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে স্ত্রী ডা: ফরিদা হকের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আদ-দ্বীন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে রফিক-উল হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে লাশ পল্টনের বাসায় নেয়া হয়। বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা দুইটার কিছু পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে রফিক-উল হকের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তার লাশ বনানী কবরস্থানে নেয়া হয়। বেলা তিনটার কিছু আগে স্ত্রীর কবরের পাশে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
দীর্ঘদিনের কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার তৃতীয় নামাজে জানাজার মধ্যে দিয়ে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের শেষ বিদায় হয় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন প্রবীণ এই আইনজীবী।
বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন রফিক-উল হক।
গত শনিবার তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে সকালের দিকে রিলিজ নিয়ে বাসায় ফিরে যান। কিন্তু দুপুরের পরপরই ফের তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। রক্তশূন্যতা, ইউরিন সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
সাবেক এই অ্যাটর্নি জেনারেল সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে আইনজীবী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আলোচিত ছিলেন। নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডেও নিজে যুক্ত রেখেছিলেন ব্যারিস্টার রফিক।