জ্বলছে নাইজেরিয়ার সর্ববৃহৎ নগরী লাগোস। বিক্ষোভ, অগ্নিসংযোগ, রক্তপাতে উত্তাল হয়ে উঠেছে আফ্রিকার এই দেশটি। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তা থেকে আকাশে উঠে যাচ্ছে অগ্নিশিখা। বন্দুকযুদ্ধের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর পর যেন তা আরো রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। প্রত্যক্ষদর্শীরা এবং মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, মঙ্গলবারের সহিংসতায় সেনারা গুলি ছুড়লে তাতে বেশ কয়েকজন মারা গেছেন।
আহত হয়েছেন অনেকে। লাগোসে এখন এমন অবস্থা বিরাজ করছে। শহরে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই কারফিউও মানছে না বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে দু’সপ্তাহ ধরে সেখানে বিক্ষোভ চলছে। তারা সামাজিক মাধ্যমে নিজেদেরকে পরিচয় দিচ্ছে হ্যাশট্যাগ #এন্ডসার্স নামে। তারা স্পেশাল এন্টি রবারি স্কোয়াডের (সার্স) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। উল্লেখ্য, বিক্ষোভের মুখে গত ১১ই অক্টোবর প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি সার্স’কে নিষিদ্ধ করে। কিন্তু বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। তারা আরো পরিবর্তন দাবি করছে। এমনকি দেশ যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে তারও সংস্কার দাবি করছে তারা।
মঙ্গলবার সারা শহরে বিভিন্ন ভবন জ্বলতে দেখা যায়। নাইজেরিয়ার একটি টিভি স্টেশনের সঙ্গে সম্পর্ক আছে একজন ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিকের। ওই টিভি স্টেশনেও পেট্রোল বোমা মেরে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। লাগোসের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ বুধবার প্রকাশ্যে গুলি ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। দেশের বেশির ভাগ সিনিয়র নেতারা বাসা লুট করা হয়েছে। তার আগেই ওইসব নেতাকে বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার পুলিশ বা সেনাবাহিনীর গুলেতে কেউ মারা যাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে এ ঘটনায় কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, সম্পদশালী অভিজাত এলাকা লেক্কিতে প্রায় ১ হাজার বিক্ষোভকারীর ওপর পুলিশ প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে।