মায়ের কাছে কোকোর মরদেহ

Slider জাতীয় টপ নিউজ

KOKO_4_967627429
ঢাকা: আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স সেখানে পৌঁছায়।

তবে খালেদার কার্যালয়ের নিচতলার কনফারেন্স রুমে মরদেহ নিতে বেশ গলদঘর্ম হতে হয় নিরাপত্তাকর্মীদের। হাজারো নেতকর্মীর ভিড়ে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্স থেকে কনফারেন্স রুমে নিতে বেশ কিছুটা সময় পেরিয়ে যায়।

কনফারেন্স রুমে মা খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

দলীয় ‍সূত্র জানিয়েছে, বাদ আসর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নামাজে জানাযায় নিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এখানেই থাকবে কোকোর মরদেহ। সেখান থেকে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

নিরাপত্তার কারণে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের গুলশানে কোকোর মরদেহ দেখতে আসতে নিষেধ করা হলেও হাজারো উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়। অনেক সিনিয়র নেতা গুলশানে এসে ফিরে যান।

এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কোকোর মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে।

বেলা সোয়া ১২টার দিকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা হয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে কোকোর মরদেহ বুঝে নেন তার চাচাতো ভাই মাহবুব আল আমিন ডিউ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন খালেদা জিয়া মনোনিত বিএনপির পাঁচ নেতা।

এরা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লা আল নোমান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় থেকে রওয়ানা হয়ে তারা পর্যায়ক্রমে বিমানবন্দরের পৌছান। কোকোর মরদেহ বহনের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সও বিমানবন্দরে পৌঁছায় যথাসময়ে।

এয়ারপোর্টে আরও উপস্থিত হন বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক এমএ মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর নাছির উদ্দীন।

কোকোর মরদেহ আসা উপলক্ষে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা যেমন বাড়ানো হয়, তেমনি সীমিত করা হয় যান ও জন চলাচল।

গত শনিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় মালয়েশিয়ায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *