বরগুনা: বরগুনায় কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে তার ভিডিও ধারণ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ার অভিযোগে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন কলেজ ছাত্রীর মা।
রোববার ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. হাফিজুর রহমান এ মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানাকে এজাহার নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন, বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম গিলাতলী গ্রামের রাজিকুল ইসলাম রাজু, কবির মিয়া ও আউয়াল।
মামলার বাদি জানান, “আমার মেয়ে বরগুনা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে খাজুরতলা গ্রামে খালার বাড়িতে বেড়াতে যায় সে। পরে ওই দিন বিকাল ৪টার দিকে বাড়িতে ফিরে আসার সময় রাজিকুল ইসলাম রাজু ও তার ভগ্নিপতি কবির মিয়া তার মেয়েকে অপহরণ করে মোটরসাইকেলে তুলে আউয়াল মিয়ার বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। সেখানে তিন দিন ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আটকে রেখে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে লোকজন নিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় আমার মেয়েকে উদ্ধার করি। আমি মামলা করতে চাইলে আসামি রাজু আমার মেয়েকে বিয়ে করার আশ্বাস দেয়। পরে রাজু জানা আমার মেয়েকে সে বিয়ে করবে না। রাজু আমাকে বলে- ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে আপনার মেয়ের খারাপ কিছু ভিডিও করে রেখেছি; সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেব।’ আমি ১০ অক্টোবর বরগুনা থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা না নিয়ে বরগুনা ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেন।”
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ওসি কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধর্ষণের ঘটনায় বরগুনা থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। একজন কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে, আমার কাছে এলেই মামলা নেয়া হতো। এখন এলেও আমি মামলা নেব। তাছাড়া আদালত যে আদেশ দেবেন তা পালন করব।’