কক্সবাজার: কক্সবাজারে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান আসামি ও তার অপর তিন সহযোগীকে আটক করেছে র্যাব। কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাট ও খুরুশকুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মোঃ মাহমুদুল হাসান মামুন।
তিনি জানান, এক কিশোরীকে দীর্ঘদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জনকে আটকের পাশাপাশি কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, সম্প্রতি কিশোরীর মা র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এ অভিযোগ করেন গত ১ সেপ্টেম্বর মোঃ শাহাবদ্দিন (২৮) ও তার ৩ জন সহযোগী মিলে তার ছোট মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে প্রায় দেড় মাস যাবত অজানা স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৭ ঘটনার সত্যতা যাছাই এবং আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
একপর্যায়ে র্যাব-৭ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে ওই ধর্ষণকারী ও তার সহযোগীরা কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন এলাকায় অবস্থান করছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে টানা ৩৬ ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং প্রধান আসামী মোঃ শাহাবউদ্দীন ও তার অপর তিন সহযোগীকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আসামিরা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করায় তাদের আটকের কাজটি ছিল কষ্টসাধ্য।
এক পর্যায়ে র্যাব-৭ জানতে পারে আসামিরা কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন কস্তুরা ঘাট এলাকায় অবস্থান করছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৫ অক্টোবর রাতে র্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা প্রধান আসামি খরুলিয়ার চেয়ারম্যান পাড়া এলাকার আব্দুল গনির ছেলে শাহাব উদ্দিনকে আটক করে। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য মতে অপর ৩ আসামি পেকুয়ার পশ্চিম উজানটিয়া পাড়ার বাসিন্দা আরমান হোসেন (২৭), খুরুশকুলের হাটখোলাপাড়ার মোঃ নুরুল আলম (৩৮) ও দক্ষিণ তো পেঁচার ঘোনার লোকমান হাকিমকে (৩৪) খুরুশকুল এলাকা থেকে আটক করে।
এসময় ঘটনাস্থল হতে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। আসামি মোঃ শাহাব উদ্দিন (২৮) অপর ৩ জন আসামিকে নিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।