বিবিসি’র রিপোর্ট দ্বিতীয় সংক্রমণ বিপজ্জনক

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদার এক যুবক দ্বিতীয়বার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, প্রথমবারের চেয়ে তার দ্বিতীয় সংক্রমণ ছিল অতি বিপজ্জনক। ২৫ বছর বয়সী ওই যুবকের ফুসফুস পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন গ্রহণে সক্ষম না হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেখানে চিকিৎসায় তিনি ভালো হয়ে উঠেছেন। তবে দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা বিরল। এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কীভাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দ্য ল্যানচেট ইনফেকশাস ডিজিজেসের গবেষণা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। উল্লেখ্য, প্রথম দফায় করোনা সংক্রমণের বেশকিছু লক্ষণ আছে।

তার মধ্যে গলাব্যথা, কাশি, মাথাব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং ডায়রিয়া অন্যতম। ২৫শে মার্চ এসব লক্ষণ দেখা দেয় ওই যুবকের। ১৮ই এপ্রিল প্রথমবার তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। প্রাথমিক ওই সব লক্ষণ ২৭শে এপ্রিল পুরোপুরি সমাধান হয়ে যায়। ৯ এবং ২৬শে এপ্রিল দুইবার তার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। দু’বারই নেগেটিভ আসে। ২৮শে মে আবার তার মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পায়। এর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ঝিমুনি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং ডায়রিয়া। ৯ই জুন দ্বিতীয়বার তার করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ সময় তার শরীরে অক্সিজেনের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই রোগীর শরীরে প্রথম দফার ভাইরাস থেকে সংক্রমণ ফেরত আসেনি। উল্টো তিনি দ্বিতীয়বার করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। দু’সময়েই ভাইরাসের জেনেটিক কোড নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাতে তারা দেখতে পেয়েছেন একই সংক্রমণে এই ভাইরাস ভিন্ন ভিন্ন ছিল। ইউনিভার্সিটি অব নেভাদার ডা. মার্ক পান্দোরি বলেছেন, আমাদের গবেষণা এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, আগের সংক্রমণ ভবিষ্যৎ সংক্রমণকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য অত্যাবশ্যক নয়। যেসব মানুষ করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন তাদেরকে তিনি সামাজিক দূরত্ব, মুখে মাস্ক পরা এবং বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুতে গাইডলাইন অনুসরণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *