একটি বড় চুম্বন দিতে চান ট্রাম্প

Slider সারাবিশ্ব

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার দু’সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত ফ্লোরিডা রাজ্যে তার এক নির্বাচনী র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন কয়েক হাজার সমর্থক। তবে তাদের বেশির ভাগেরই মুখে ছিল না মাস্ক। তাদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি তাদেরকে একটি বড় চুম্বন দিতে চান। অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বেপরোয়া আচরণ করার জন্য ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট জো বাইডেন। ওদিকে রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিক্সের জরিপে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের চেয়ে ১০ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন জো বাইডেন। সোমবার দু’জনেই প্রচারণা চালিয়েছেন। জো বাইডেন প্রচারণা চালিয়েছেন ওহাইও রাজ্যে।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

অন্য সব প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চেয়ে এবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নানা কারণে একেবারেই ব্যতিক্রমী। এ নির্বাচন হচ্ছে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির মধ্যে। অথচ এই মহামারিকে তেমন পাত্তাই দেন না ট্রাম্প। তবে এই ভাইরাসে নিজেই আক্রান্ত হয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। হাসপাতাল থেকে ফিরলেও নিশ্চিত করে জানানো হয়নি যে, তিনি পুরোপুরি করোনা থেকে মুক্ত কিনা। কারণ, তার করোনা পরীক্ষা কবে সর্বশেষ নেগেটিভ এসেছে তা হোয়াইট হাউজ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি। এমন অবস্থায় প্রচারণায় ফিরেছেন ট্রাম্প। আগামী ৩রা নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ফলে প্রতিজন প্রার্থীর সামনে এখন সময় বাকি মোটামুটিভাবে তিন সপ্তাহ। এ সময়ে তাদের দৃষ্টি থাকবে বিশেষ করে ব্যাটলগ্রাউন্ড বা সুইং স্টেটগুলোর দিকে। কারণ, কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, তা অনেকাংশে নির্ভর করে এসব রাজ্যের ভোটারদের ওপর। এসব রাজ্যের ভোটারদের বেশির ভাগই কোনো দলের অন্ধভক্ত নন। তারা যখন যাকে যোগ্য মনে করেন, তাকেই ভোট দেন। এসব রাজ্যে বিজয়ী প্রার্থীই এতদিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে আসছেন।

ওদিকে জাতীয় পর্যায়ে জনমত জরিপে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে ১০ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন জো বাইডেন। তবে ওইসব সুইং স্টেটের কয়েকটিতে তাদের ব্যবধান খুব কাছাকাছি। যেমন ফ্লোরিডায় জো বাইডেন এগিয়ে আছেন মাত্র ৩.৭ পয়েন্টে। যুক্তরাষ্ট্রে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ব্যবস্থায় মোট ইলেকটোরেট আছে ৫৩৮টি। তার মধ্যে একজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে কমপক্ষে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হয়। এই সংখ্যা অর্জনের জন্য ফ্লোরিডা ও ওহাইওর মতো ব্যাটলগ্রাউন্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *