ঢাকা: ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনীতে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। আগামী কাল এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট অধ্যাদেশ জারি করবেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে আইনের সংশোধনীর অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন। সচিবালয় থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা যুক্ত ছিলেন।
পরে আইনমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, সংশোধিত আইন মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও থাকবে। আগামী কালই এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
সম্প্রতি দেশে একাধিক ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়।
সিলেটের এমসি কলেজে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভ-ধিক্কার জানায় হাজার হাজার মানুষ। টানা প্রতিবাদী কর্মসূচি পালিত হচ্ছে রাজপথে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দিচ্ছেন এসব কর্মসূচিতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। কেউ কেউ ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানান। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আগে জানিয়েছিলেন, জনগণের দাবির প্রেক্ষিতেই সরকার আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমান আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। মৃত্যুদণ্ডের বিধানের প্রস্তাব নিয়ে সমাজ এবং আইনবিদদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।