ডেস্ক: চিকিৎসাবিজ্ঞানে অবদান রাখায় চলতি বছর নোবেল পুরস্কার জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভে জে অল্টার, চার্লেস এম রাইস ও ব্রিটেনের মাইকেল হটন। হেপাটাইসিস সি ভাইরাস আবিস্কারের জন্য যৌথভাবে তাদের এই পুরস্কার দেয়া হবে। প্রতিবছর মেডিসিনেই প্রথম নোবেল জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেয়া হয়। উল্লেখ্য, ১৯০৫ সালে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা ক্ষেত্রে ১০৯ বার নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে কোষ কীভাবে অক্সিজেনের উপস্থিতি অনুভব করে এবং সাড়া দেয়, তা নিয়ে গবেষণা করে নোবেল জিতেছিলেন লন্ডনের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক স্যার পিটার র্যাটক্লিফ এবং যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের উইলিয়াম ক্যালিন ও জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেগ সেমেন্জা। ২০১৮ সালে নেতিবাচক ইমিউন নিয়ন্ত্রণে বাধাদানের মাধ্যমে ক্যানসার থেরাপি আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান জেমস পি. অ্যালিসন ও তাসুকু হনজো। আর ২০১৭ সালের বায়োলজিক্যাল ক্লকসের মলিকিউলার মেকানিজমের আবিষ্কারের কারণে নোবেল পুরস্কার জেতেন বিজ্ঞানী জেফরি হল, মাইকেল রোশবাশ ও মাইকেল ইয়াং।
১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮-তে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধান করা এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ একাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেয়া হয়।