প্রযুক্তির ব্যবহারঃ আমাদের দেশেও দিনদিন বাড়ছে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ।পদ্ধতির জোয়ারে ভাসছে আজকের প্রজন্ম । গোটা দুনিয়াটাকে অনুমিত হচ্ছে হাতের মুঠোয় মার্বেল এর চেয়েও ছোট কিছু! হাতে হাতে অপার প্রযুক্তির সৃষ্টির সম্ভার । প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রাজধানী শহর চলছে প্রযুক্তির হাত ধরে । অর্থনৈতিক উন্নতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে প্রযুক্তি সম্প্রসারণে হচ্ছে ব্যাপক হারে । স্কুল শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে গ্রামের কৃষক পর্যন্ত সবার জীবন বদলে যাচ্ছে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় । আগে অজপাড়া গাঁ বলতে যা বুঝানো হতো তা এখন আর দেখা যায় না গ্রামাঞ্চলে । ঘরে ঘরে আজ প্রযুক্তির ছোঁয়া । আগামী বছরগুলোতে এই গতি আরও বাড়বে । তখন পৃথিবীর চেহারা বদলে যাবে । আরও আধুনিকতম প্রযুক্তির ব্যবহার জীবনাচারে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলবে ।
তারবিহীনঃমোবাইলফোন যবনিকা ঘটিয়েছে চিঠি-ঘড়ি- টর্চলাইট যুগের । টেরিস্টরিয়াল বা ডিস লাইনে টিভির পতন ঘটাচ্ছে তারহীন ডিটিএইচ ।
কৃষিতে প্রযুক্তিঃ আধুনিক যান্ত্রিক প্রযুক্তি বদলে দিয়েছে যন্ত্র । জমি কর্ষণ থেকে ফসল লাগানো, ফলানো, কাটা, বাজারে অানা পর্যন্ত সবকিছু করছে যন্ত্র । ড্রোন এনেছে বিপ্লব । দুর্গম এলাকায় চিকিৎসক সেবা দিচ্ছে । জেলেরা সাগরে মাছ ধরছে অাধুনিক প্রযুক্তিতে।
তথ্যভাণ্ডারঃ যেখানে একটি শব্দ লিখে সার্চ করলে মিনিটে উদ্ভাসিত হয় তথ্যভান্ডার । পাঠ্যপুস্তক,লাইব্রেরি স্টকে থাকা বস্তা বস্তা বই পড়তে অতটা ধৈর্য্য নেই এই প্রজন্মের অনেকের । স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম এখন অনলাইনে ।
অনলাইন শপিংঃ অ্যামাজন ও গুগলের পর ভার্চুয়াল সহকারীকে ডিভাইসের মাধ্যমে এনেছে আলিবাবা আছে দারাজ এর মত বহু অনলাইন শপিং অ্যাপস । কোন কিছু চাহিবা মাত্র পাওয়া যাবে । অার এই অনলাইন মার্কেটিংয়ের প্রভাব এতটাই যে বিশ্বের সব খুচরা শকগুলোর শাটার টানতে হচ্ছে ।
জনসেবাঃভিডিও কনফারেন্স ও নানা ধরনের অ্যাপসের মাধ্যমে সরকারি কাজ দ্রুত ও সহজ হয়ে গেছে । ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলেই মিলছে জরুরি সেবা । গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেছে ই-কমার্সের সেবা । কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, টেলিভিশন ডিভাইসসহ বহু প্রযুক্তি জীবনকে অভাবনীয় করে তুলেছে । ১৬২৬৩ নম্বরে ডায়াল করে ২৪ ঘন্টাই পাওয়া যাচ্ছে চিকিৎসা পরামর্শ ।
কর্মসংস্থানঃ স্মার্টফোন অাসার পর বদলে গেছে অনেক কিছুই । মানুষ এখন অাগের উপায়ে অনেক কাজ না করে, নতুন বিকল্প উপায় খুঁজে নিতেই পছন্দ করেন বেশি ।
লেখক
সাইফুল ইসলাম
স্কুল শিক্ষক