সিলেট ব্যুরো: সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এই মামলার তিন আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম।
শুক্রবার বিকেলে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো: জিয়াদুর রহমানের আদালতে ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন অর্জুন লস্কর। এরপর জবানবন্দি দেন সাইফুর রহমান ও রবিউল ইসলাম।
এরআগে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার দুপুরে আদালতে তোলা হয় তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি ছাত্রলীগ ক্যাডার সাইফুর, অর্জুন ও রবিউলকে। দুপুরে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে তাদেরকে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির করে শাহপরাণ থানা পুলিশ।
এর আগে ধর্ষণ মামলায় এজাহারভুক্ত এই তিন আসামিকে গত সোমবার আদালতের মাধ্যমে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলেও সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাস জোর করে খোলা রাখে ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। গত ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যারাতে এক তরুণী গৃহবধূ তার স্বামীকে নিয়ে নিজস্ব কারে সিলেটের এমসি কলেজের মেইন গেইটের কাছে এসে নামেন। এসময় ছাত্রলীগের ছয় ক্যাডার তাদের জোর করে ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে মারধরের পর স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে ধর্ষণ করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দম্পতিকে ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
রাতেই এ ঘটনা জানাজানি হলে সর্বত্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
গণধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনের নামে মামলা করা হয়েছে শাহপরাণ থানায়। একই মামলায় অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত সকলেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। পুলিশ অভিযুক্ত সকলকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।