২৮ দফা যৌথ ঘোষণায় শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সর্বোচ্চ ফোরাম জেসিসি’র বৈঠক। ওই ঘোষণায় জানানো হয়েছে, ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফর করতে পারেন। ২০২০ সালের মার্চে তার পূর্ব নির্ধারিত যে সফর ছিল সেটি বৈশ্বিক সঙ্কট করোনা কারণে শেষ সময়ে এসে স্থগিত করতে হয়েছে। ওই সফরের তারিখ পূণঃনির্ধারণে উভয় পক্ষ কাজ করছে উল্লেখ করে জেসিসি বৈঠকের যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, জেসিসি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদির স্থগিত হওয়া ঢাকা সফরটি পূণনির্ধারণের বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। এটি ঘটনাচক্রে (২০২১ সালে) বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তির সঙ্গে মিলে যায়। যৌথ ঘোষণা মতে, দুই দেশের প্রতিনিধিরা আগামী ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার ভার্চ্যুয়াল বৈঠক আয়োজনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। সামিট বা শীর্ষ পর্যায়ের ওই বৈঠকে কি আলোচনা বা চুক্তি হবে তা এখনও ঠিক হয়নি জানিয়ে জেসিসি বৈঠক পরবর্তী সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, ডিসেম্বর-২০২০-এ দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার ভার্চুয়াল বৈঠক আয়োজনে আমরা উভয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছি। এখন বাকী প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।
ভালভাবে বৈঠকের প্রস্তুতি নিতে হাতে বেশ সময় আছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, বৈঠকটিকে তাৎপর্যপূর্ণ করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। শীর্ষ বৈঠককে সামনে রেখে ঢাকা ও দিল্লি বেশ কিছু চুক্তি বা সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে একদিন আগেই জানান ড. মোমেন। বাংলাদেশ-ভারত ৬ষ্ঠ যৌথ পরামর্শক কমিশনের ( জেসিসি) বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। সেখানে তিস্তা, সীমান্ত হত্যা, লাইন অব ক্রেডিট, রোহিঙ্গা সঙ্কট, পিয়াজ রপ্তানীর দুয়ার উন্মুক্তকরণ, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রাপ্তি, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ভারতে বিনিয়োগের সূযোগ, চিকিৎসা এবং শিক্ষার জন্য দেশটিতে গমণকারীদের জন্য এয়ার বাবেল চালুর পাশাপাশি ল্যান্ড পোর্টগুলো খুলে দেয়াসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বার্নিং ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।