জ্ঞান-বিজ্ঞান, চিকিৎসা, দর্শন, শিল্প-সাহিত্য ও বিশ্ব সভ্যতায় মুসলমানদের যে যুগান্তকারী অবদান রয়েছে তা আমরা অনেকেই জানিনা । অথচ ইতিহাস ঘাটলে আমরা অনেক মুসলিম মহামনীষীর সন্ধান পাই যাদের অবিস্মরণীয় কর্মধারা অবদানে সমৃদ্ধ হয়েছে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বহু জগত । কিন্তু দুঃখের বিষয় কিছু লোক সেসব ইতিহাস থেকে বিস্মৃত হয়ে অকপটে একথা বলতে কোন প্রকার দ্বিধা করছে না যে জ্ঞান বিজ্ঞান ও মানবসভ্যতার উন্নয়নে মুসলমানদের কোনো অবদান নেই । শুধু তাই নয় শিল্প-সাহিত্য ইতিহাস দর্শন জ্যোতির্বিদ্যা ফিজিক্স কেমিস্ট্রি এমনকি চিকিৎসাশাস্ত্রেও মুসলমানগন অমুসলিমদের নিকট চিরঋণী বলে তারা প্রচার করেন । বস্তুত এ দাবির সঠিক নয়। মুসলমানদের এমন এক সোনালী যুগ ছিল যখন মুসলিম জাতির মধ্যে মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় পৃথিবী- কাঁপানো অসংখ্য জ্ঞানে গুণে ভরা ধন্য মানুষের জন্ম হয়েছিল । তারা জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রায় সকল শাখায় যুগশ্রেষ্ঠ অবদান রেখে গিয়েছেন । অনেক মুসলিম বিজ্ঞানী দিগন্ত উন্মোচনকারী আবিষ্কারের মাধ্যমে পুরো পৃথিবীর চেহারাই পাল্টে দিয়েছেন । বিশ্বকাঁপানো সেই পৃথিবীবরেণ্য মুসলিম আবিষ্কারক আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সফল জনক ‘ইবনে সিনা ‘।
**পদার্থ বিজ্ঞানের শূন্যের অবস্থান নির্ণয়কারী ‘আল ফারাবি ‘।
**রসায়নের কৃতিবান জনক ‘জাবির ইবনে হাইয়্যান ‘।
** বীজগণিতের জনক ‘মুসা অাল খাওয়ারিজমী’।
**ত্রিকোণমিতির সার্থক জনক ‘অাবুল ওয়াফাহ’ ।
**বীজ গণিতের প্রতীক উদ্ভাবনকারী ‘অাল কালাসদী’।
**পৃথিবীর প্রথম নির্ভুল মানচিত্র অংকনকারী ‘অাল ইদরীসী’ ।
**সালফিউরিক এসিডের অাবিষ্কারক ‘অাল রাযী’ ।
**হ্নদযন্ত্রে রক্ত চলাচল প্রক্রিয়ার অাবিষ্কারক ‘ইবনুন নাফিস ‘।
**বিশ্বের সেরা কৃতিত্ববান ভূগোলবিদ ‘অাল বিরুনী ‘।
এমনি অারো অনেক মুসলিম মনীষী অাছেন -যাঁরা তাদের জীবনের সবটুকু শ্রম ও সাধনা দিয়ে পৃথিবীকে জ্ঞানে -বিজ্ঞানে উন্নত করে সাজাতে অতুলনীয় অবদান রেখেছেন । পৃথিবী অাজও সেই মহামনীষীগণের রেখে যাওয়া কর্মধারাকে গ্রহণ করে তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে ।
লেখক
সাইফুল ইসলাম
শিক্ষক