রপ্তানি জটিলতার কারণে সীমান্তে লোড অবস্থায় থাকা পিয়াজগুলো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা হলেও বেশিরভাগ পিয়াজই পচে নষ্ট হয়ে গেছে। শনিবার আমদানি করা পিয়াজগুলো পাঁচ দিন ধরে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকে পড়ে ছিল হিলি বন্দরে। অতিরিক্ত গরমে পিয়াজ পচে নষ্ট হওয়ায় হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা বিপাকে পড়েছেন। তারা আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
এদিকে বন্দরের মোকামে একটু ভালো মানের পিয়াজ পাইকারি ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও পচা বা নষ্ট পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গত ১৮ সেপ্টেম্বর এক সিদ্ধান্তে শুধুমাত্র ১৩ই সেপ্টেম্বর এলসি করা পিয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয়। ফলে শনিবার সীমান্তে আটকে থাকা ১১টি ট্রাকে ২৪৬ টন পিয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আমদানি করা হয়। তবে সীমান্তে আটকে থাকা ১০ হাজার টন পিয়াজের অনুমতি দেয়া হয়নি। এ কারণে আজ রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পিয়াজ আমদানি হয়নি।
হারুন উর রশিদ আরো জানান, শনিবার যেসব পিয়াজ এসেছে তার বেশিরভাগই পচে নষ্ট হয়ে গেছে।
এতে বন্দরের ব্যবসায়ীদের প্রায় অর্ধ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ই সেপ্টেম্বর ভারত সরকার অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে সীমান্তে ২৫০-৩০০ পিয়াজ বোঝাই ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকা পড়ে।