ঢাকা: কথায় বলে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। মাছ ছাড়া বাঙালির চলে না। আর এই বাঙালির পাতে যদি একটু নদীর রূপালি মাছ না পড়ে তাহলে কি আর চলে? তবে এবার ইলিশ প্রিয় ভোজনরসিক ভারতের বাঙালিদের জন্য রয়েছে সুখবর। ভাদ্রের শেষ লগ্নে শারোদৎসবের আগে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে পদ্মার ইলিশ পৌঁছে গেছে ওপার বাংলায়। যার ফলে এবার দুর্গা পুজোয় বাঙালি বাড়িতে জমে উঠবে পদ্মার ইলিশের জমজমাট নানা পদের রান্নায়।
ভারতে ইলিশ রফতানির আগে প্রকারভেদে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে ইলিশ পাওয়া গেলেও এখন সেটা ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায় দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। অথচ ইলিশ নিয়ে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে দুই দেশের ব্যবসায়ীসহ জনসাধারনের মনে হাজারো প্রশ্ন।
কাস্টমস ও বন্দর সূত্রে জানা যায়, পূজা উপলক্ষে প্রতিশ্রুত এক হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন ইলিশের মধ্যে গত তিনদিনে ১৯৭ দশমিক ৯ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রফতানি হয়েছে ভারতে। বুধবার ৯৩ দশমিক ৬ মেট্রিক টন ইলিশের চালান কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এর আগে সোমবার ৪১ দশমিক ৩ মেট্রিক টন ও মঙ্গলবার ৬৩ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রফতানি হয়। বুধবার ইলিশের চালানটির রফতানিকারক ছিলেন ঢাকার রিপা এন্টারপ্রাইজ ও খুলনার জাহানাবাদ সি ফিশ লিমিটেড।
প্রতিকেজি ইলিশের রফতানি দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ মার্কিন ডলার হিসেবে ৮০০ টাকা। এই দরে রফতানি করা প্রতিটি ইলিশের ওজন ছিল এক কেজি থেকে ১২০০ গ্রাম।
মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ও বেনাপোলের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার নয়জন রফতানিকারককে মোট এক হাজার ৪৭৫ টন ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে। প্রতিকেজি ১০ মার্কিন ডলার দরে মোট এক লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের ইলিশ মাছ ভারতে রফতানি করা হবে। এ বছর ভারতে মোট এক হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রফতানি করা হবে।