ঢাকা: করোনা মহামারী প্রাদুর্ভাবের কারণে ২৪ মার্চ থেকে প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে সব আসনে যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বুধবার থেকে ট্রেনগুলোতে ধারণ ক্ষমতার সব যাত্রী নিয়ে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন জানান, সকাল থেকে রেলওয়ের সব ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল শুরু করেছে।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে সরকার ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোর চলাচল বন্ধ করে দেয়।
পরে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশিকা অনুসরণ করে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার অনুমতি দেয়।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্তের খবর পাওয়া এবং ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। মহামারি এ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সরকারের এ ঘোষণার পরে বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রীবাহী লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল সেবা বন্ধ করে দেয়।
সীমিত আকারে গণপরিবহন ও অফিসের কার্যক্রম খুলে দেয়ার জন্য গত ২৯ মে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এরপর ৩১ মে আট জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালুর মধ্যে দিয়ে ট্রেন চলাচল সেবা পুনরায় চালু হয়। স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে ৩০ মে থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। ওইদিন থেকে ট্রেনের টিকিট ২৫ শতাংশ অনলাইনে এবং বাকি ২৫ শতাংশ কাউন্টার থেকে বিক্রি করা শুরু হয়। বাকি আসন খালি রাখা হতো।
এছাড়া ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রেল তাদের বহরে আরও ২৪টি লোকাল ও কমিউটার ট্রেন যুক্ত করেবে বলে গত ৮ সেপ্টেম্বর রেলওয়ের উপপরিচালক (ট্রাফিক পরিবহন) খায়রুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।
দেশে গণপরিবহনের উপর দেয়া বিধিনিষেধ ধীরে ধীরে তুলে নেয়া হয়েছে। এতে পরিবহনের সাথে জড়িতদের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা কঠোরভাবে অনুসরণ করার নির্দেশ দেয়া হলেও তা না মানার প্রবণতা দেখা গেছে।
সূত্র : ইউএনবি