ঢাকা: সারা দেশে ২৭৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে রোববার থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। একজন ভোক্তা নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি সর্বোচ্চ ২ কেজি করে কিনতে পারবেন। এ ছাড়া পিয়াজের সঙ্গে চিনি, মশুর ডাল ও সয়াবিন তেলও ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি হবে। টিসিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিকেজি চিনি ও মশুর ডাল ৫০ টাকা কেজি দরে একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ ২ কেজি করে কিনতে পারবেন। এ ছাড়া সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা দরে একজন ভোক্তা দুই লিটার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পাঁচ লিটার পর্যন্ত কিনতে পারবেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পিয়াজের দাম বাজারে একটু বেড়েছে। বন্যার কারণে সরবরাহে সমস্যা হয়েছে। আমরা দাম কমাতে চেষ্টা করছি।
টিসিবি বড় পরিসরে নামছে। আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে ন্যায্যমূল্যে খোলাবাজারে পিয়াজ বিক্রি শুরু করবে টিসিবি। এ ছাড়া এবার আমরা সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করে সর্বোচ্চ পরিমাণ পিয়াজ আমদানি করব। আমরা ফুল মনিটর করছি।
টিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও বন্য পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবি এসব পণ্য বিক্রি করবে। সেক্ষেত্রে ঢাকায় ৪০টি ট্রাক, চট্টগ্রামে ১০টি, রংপুর ৭টি, ময়মনসিংহে ৫টি, রাজশাহীতে ৫টি, খুলনায় ৫টি, বরিশালে ৫টি, সিলেটে ৫টি, বগুড়ায় ৫টি, কুমিল্লায় ৫টি, ঝিনাইদহে ৩টি ও মাদারীপুরে ৩টি করে অবশিষ্ট জেলা ও উপজেলায় প্রত্যেকটিতে ২টি করে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হবে। এ ছাড়া টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাভুক্ত উপজেলায় অতিরিক্ত ৫টি ট্রাকে ও বন্যাকবলিত জেলা ও উপজেলায় পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩টি ট্রাক পণ্য বিক্রি করবে। আর এই বিক্রি কার্যক্রম শুক্রবার ও শনিবার বাদে ১লা অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে।
এছাড়া প্রতিটি ট্রাকে চিনি ৫০০-৭০০ কেজি বরাদ্দ থাকবে। সঙ্গে মশুর ডাল ৪০০-৬০০ কেজি, সয়াবিন তেল ৭০০ থেকে ১ হাজার লিটার ও পিয়াজ ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ কেজি বরাদ্দ থাকবে।