ঢাকা: সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করলেই সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়েও যেমন মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। ঠিক তেমনি নিরপেক্ষ হয়েও সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতা নেই।
শনিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সরকারের হস্তক্ষেপ’-এর প্রতিবাদে মানববন্ধনে এসব অভিযোগ করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফএইজে) একাংশের নেতারা।
বিএফইউজে’র একাংশের সভাপতি আবদুল হাই সিকদার মানববন্ধনে বলেন, যে কেউ যেকোনো দলের পক্ষে থাকতেই পারেন। সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু যদি কেউ দলীয় মত পেশা ক্ষেত্রেও নিয়ে আসেন, তাহলে সেটাকে সাংবাদিকতা বলে না।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়েও যেমন মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। ঠিক তেমনি নিরপেক্ষ হয়েও সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতা নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) মনে রাখবেন এই সরকারই ইতিহাসের শেষ সরকার নয়। তাই পেশার ক্ষেত্রে নিজেকে বিকিয়ে না দিয়ে সাংবাদিকদের পক্ষে কথা বলুন।
দেশের শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগের আহবান জানান আবদুল হাই সিকদার।
অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএফইউজে’র সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ বলেন, দেশের নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার একমাত্র সমাধান হলো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া। দমন-পীড়ন করে এদেশের শান্তি ফিরিয়ে আনা অসম্ভব।
তিনি অভিযোগ করেন, ঘরে ঘরে সন্ত্রাসীর জন্ম দিচ্ছে সরকার। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা রাস্তায় এসব অপকর্ম চালাচ্ছে তাদের পুলিশ আটক করছে না। অথচ ঘরের ভেতর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে।
বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজি বলেন, কোনো মিডিয়া ভিন্নমত পোষণ করলেই প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন এভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করছে সরকার?
মানববন্ধনে আরও মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মহসিন, সাধারণ সম্পাদক মীর আহমেদ মীরু, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।