গাজীপুর: অব্যবস্থাপনাকে কাটিয়ে উঠতে চিকিৎসা সেবায় দায়িত্ব পালনকারী সকল সরকারী বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র গুলো সঠিক সেবা দিচ্ছে কি না, তার শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থা দরকার। জেলা স্বাস্থ্যসেবা কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারী দপ্তর থেকে প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত কমিটি সার্বক্ষনিক মনিটরিং করলে উন্নতি আশা করা যায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, একাধিক হাসপাতালের লাইসেন্স নেই, নবায়ন নেই। প্রয়োজনীয় লোকবল নেই। চিকিৎসা সরঞ্জামেরও অভাব। ডাক্তার নার্সরা সঠিক কিনা বা সঠিকভাবে কাজ করছেন কি না, তা সরকারী ব্যবস্থাপনায় মনিটরিং জরুরী। হাসপাতাল থেকে সরবরাহকৃত ঔষুধ সরকারী নিয়ম মেনে দেয়া হচ্ছে কি না, ড্রাগ লাইসেন্স আছে কি না সব দেখভাল দরকার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদের বিষয়গুলো নিজেদের মত করে দেখার কারণে সরকারী মনিটরিং জরুরী হয়ে গেছে। একটি ফ্লোর ভাড়া নিয়ে কিছু যন্ত্রপাতি ও কয়েকজন লোক নিয়েই যেন কেউ হাসপাতাল শুরু করতে না পারে সে জন্য মনিটরিং এর কোন বিকল্প নেই। একটি হাসপাতালে যে সকল ধরণের কাগজপত্র থাকে সে দিকটা দেখা দরকার।
সেবা গ্রহনকারীদের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসা বা চিকিৎসায় অবেহলা হয়। কখনো কখনো অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগও আসে। এসব দেখাশুনার জন্য শক্তিশালী মনিটরিং প্রয়োজনী। না হয় ভুল ভুলই থেকে যাবে। শুদ্ধ হওয়ার আগে জীবন ঝরে যাবে।