নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মসজিদের বিস্ফোরনের ঘটনায় কোন এয়ারকন্ডিশন বিস্ফোরন হয়নি। এমনকি বিদ্যুতের স্পার্কিংয়ের কথা বললেও বৈদ্যুতিক বোর্ড আগের মতোই রয়েছে।
ঘটনাস্থালে গিয়ে দেখা গেছে, বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ছয়টি এসির একটিও বিস্ফোরিত হয়নি। লিকেজ থেকে বের হওয়া গ্যাস এবং বিদ্যুতের স্পার্ক থেকে বের হওয়া আগুনেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান উপ-পরিচালক নূর হাসান আহমেদ।
বলেন, মসজিদের এসি থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। ছয়টি এসির প্রতিটির ক্যাচিং পুড়েছে কিন্তু ভেতরের সব ঠিক আছে। বিস্ফোরণ হয়েছে গ্যাসের ও বিদ্যুতের স্পার্ক থেকেই।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সিআইডির তদন্ত কমিটির সদস্যও পুলিশ পরিদর্শক জিয়াউদ্দিন উজ্জলও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ছয়টি এসির একটিও বিস্ফোরিত হয়নি, হওয়ার কথাও নয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেইন্যান্স) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় আমরা দেখতে পাচ্ছি এ দুই তলা মসজিদের নিচতলার ফ্লোরের নিচে তিতাস গ্যাসের একটা লাইন আছে। বর্তমানে এ ফ্লোরে পানি থাকার কারণে পানিতে বুদবুদ উঠছে। এতে বুঝা যায় গ্যাস নির্গত হচ্ছে। আমরা অনুমান করছি, এখানে যেহেতু নামাজের সময় এসি চালু ছিল। তার মানে পুরো ঘরটা এখানে বদ্ধ অবস্থায় ছিল। ঘরটা বদ্ধ থাকায় গ্যাস এখানে জমে যায়। হয়তো কোন একজন কোনটা লাইট বা ফ্যানের সুইচ অন করার সময় হয়তো কোন প্রেসারে কারণে এটা ঘটে থাকতে পারে। যখন এখানে আগুনের সৃষ্টি হয় তখন এখানে যে এসিগুলো চলমান ছিল এতে এসির পাইপ লিকেজ হয়ে আগুনটা এসির মধ্যে চলে যায়। আপাত্ত মনে হচ্ছে এসিগুলো আগুনে পুড়ে গেছে। এসিগুলো বিস্ফোরণ হলে আশে পাশে আরো কালো দাগ পাওয়া যেতো। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন দাগ পাওয়া যাচ্ছে না।