গাজীপুর: গাজীপুর জেলায় সরকারী নীতিমালা অমান্য করে রাষ্ট্রকে ফাঁকি দিয়ে ও স্বাস্থ্যসেবা গ্রহনকারী জনগনের সঙ্গে প্রতারণা করা প্রতারক চক্রের সংখ্যা ৩২জন হতে পারে।
অনুসন্ধানকালে এমন তথ্যই এসেছে।
জানা গেছে, গাজীপুর জেলার স্বাস্থ্যসেবার প্রধান নিয়ন্ত্রক জেলা সিভিল সার্জন অফিসকে ঘিরে প্রতারকের সংখ্যা ৮জন। তারা সিভিল সার্জন অফিসকে দিয়ে হাসপাতাল ডায়গনষ্টিক ক্লিনিক সহ বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স করিয়ে দেন। এই কাজ সহজ করার জন্য ওই দালাল চক্র সব সময় সিভিল সার্জন অফিসে ঘুর ঘুর করেন। সকাল হলেই হোন্ডা নিয়ে সিভিল সার্জন অফিসে যায় ওরা। সিভিল সার্জন আসলেই সামনে গিয়ে স্যার স্যার বলে তাদের গ্রহনযোগ্যতা নবায়ন করেন। ফলে কাজ পেতে সহজ হয় দালালদের। এই চক্রের মধ্যে যারা থাকেন তাদের মধ্যে কয়েকজন কথিত সাংবাদিক। তারা নেতিবাচক সংবাদ বন্ধ রাখার দায়িত্বও পালন করেন। পাশাপাশি কোন অনুষ্ঠান হলে তাদের পছন্দমত সাংবাদিকদের আমন্ত্রন করেন। কোন অনুষ্ঠানে যেন সিভিল সার্জন তার দোষ ত্রুটি ধরার সুযোগ না পায় সেজন্য পেশাদার অনেক সাংবাদিকদের খবরও দেয়া হয় না। ওই সকল সাংবাদিক আবার আউট সোর্সিং কাজটিও দেখভাল করতেন। এই থেকে মাসিক একটি ভাতাও পেতেন ওরা। আবার ঔষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ডাক্তার ও সিভিল সার্জনের সখ্যতা করিয়ে দেয়ার কাজও করেন কথিত সাংবাদিক পরিচয়ের দালাল চক্র। সব মিলিয়ে সিভিল সার্জনকে অন্ধকারে রাখতে এই চক্র সব সময় সক্রিয় থাকেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুর মহনাগরে ৪টি বেসরকারী হাসপাতালে ৮জন দালাল নিয়মিত যাতাযাত করেন। হাসপাতাল মালিক সমিতির নেতাদের ওই চার হাসপাতালে প্রতিদিন জমা হওয়া বিভিন্ন হাসপাতালের কাগজপত্রের সমস্যা তারা সমাধান করেন। এ ছাড়া শ্রীপুর উপজেলায় ৩জন, কাপাসিয়ায় ৩জন, কালিগঞ্জে ২জন, সদর উপজেলায় ১জন ও গাজীপুর সদর ও টঙ্গীতে মহানগর এলাকায় ৭জন দালাল সক্রিয় রয়েছেন।