গাজীপুর: গাজীপুরে ভেঙ্গেপড়া স্বাস্থ্যসেবাখাতকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সবাই চেষ্টা করছে। এই চেষ্টার অংশ হিসেবে চলছে ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ ১৯তমপর্ব। যতদিন না এই খাতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দৃশমান না হয়, ততদিন চলবে এই খবর। আজ গাজীপুর স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সক্রিয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র নিয়ে আমাদের খবর।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুর জেলার সকল প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়গনষ্টিক সেন্টারগুলোকে এক সাথে করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। এই সব সংগঠনের গাজীপুর জেলা, মহানগর ও উপজেলা ইউনিটও আছে। মূলত কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিক বা ডায়গনষ্টিক সেন্টার নতুন হলে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সকল কাগজপত্র সংগঠনের নেতারা করে দেন। আর ওই নেতাদের সহযোগিতা করেন কিছু লোক।
অনুসন্ধান বলছে, গাজীপুর জেলা মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ে গঠিত সংগঠনগুলোর বড় পর্যায়ের বেশীর ভাগ নেতাই আওয়ামীলীগ নয় এমন রাজনৈতিক দলের লোকজন। এই খাত পরিচালনাকারীদের অধিকাংশই বিএনপির লোক। কম লোক আওয়ামীলীগের হওয়ায় তাদের ক্ষমতাও কম। গাজীপুর স্বাস্থ্যখাতকে ঘিরে সক্রিয় চক্র হাসপাতাল মালিকদের সংগঠন নির্ভর। হাসপাতালের কাগজপত্র নতুন বা নবায়ন করা সহ নানা সমস্যা নিয়ে বেশ কিছু নেতাদের হাসপাতালে প্রতিদিনই ভীড় জমে যায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, একাধিক নেতার হাসপাতালে হাসপাতাল মালিকদের ভীড়। তারা একটি বড় খামে করে কাগজপত্র দিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের অনুসন্ধান টিম বসা থাকার খবর প্রকাশিত না হওয়ায় সহজেই তারা নেতাদের কাছে নিজেদের সমস্যার কথা বলতে পারছেন। আর দিয়ে যাওয়া খামগুলোর উপরে লেখা থাকে সিভিল সার্জন গাজীপুর। অনেক লোকের ভীড় দেখে ওই সকল নেতারা খাম নিতে ইতস্ততাবোধ করেছেন। অবশ্য এই সকল খামের বিষয়ে গাজীপুরের সিভিল সার্জন কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।
সংঘবদ্ধ চক্রে কারা পড়বেন আগামীকাল।