গাজীপুর: হাসপাতাালের সরকারী লাইসেন্স বা নবায়ন পেতে করা আবেদনপত্রের সঙ্গে যে ১২টি খন্ড খন্ড লাইসেন্স জমা দেয়া হয়েছে, সেগুলো সঠিক কি না, তা যাচাইয়ের জন্য ক্রস চেক করা দরকার। কারণ ইতোমধ্যো মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের একটি লাইসেন্সের আবেদন পত্রের রিসিভ কপিতে ভেজাল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হওয়ায় এই দাবী উঠেছে। মূল লাইসেন্সের সঙ্গে জমা দেয়া ১২টি শর্তপূরণ সংক্রান্ত বিষয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে দেয়া হয়েছে কি না, তা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোকে নিয়ে একটি কমিটি করে স্বচ্ছতা আনয়ন করা দরকার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুর জেলায় ছোট বড় প্রায় অর্ধসহস্রাধিক বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে তিনশোর মত প্রতিষ্ঠান নবায়ন/লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলেও বাকী প্রতিষ্ঠানগুলো কি ভাবে চলছে, তা জানা দরকার। একইসঙ্গে যে সকল হাপসাতাল চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে সেসব হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার নার্স কেমন দায়িত্ব পালন করছেন তাও মনিটরিং দরকার। কারণ ইতোমধ্যে ডাক্তারের চেয়ারে বসে ডাক্তার নন এমন ব্যক্তি বসে বসে ফেসবুক চালাচ্ছেন মর্মে ছবি সহ সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা কেমন চলছে, তারও তদারকি জরুরী। কারণ স্বাস্থ্যসেবা একটি জরুরী ও নাগরিকের মৌলিক অধিকার। এখানে জন্মমৃত্যুর খেলা চলে সব সময়। ভুল চিকিৎসার কারণে কোন সন্তান যেমন মারা যেতে পারে তেমনি ভুল চিকিৎসার কারণে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। জন্ম-মৃত্যুর এই খেলাকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে তদারকি খুবই জরুরী।
পর্যালোচনা করলে দেয়া যায়, প্রায়ই ভুল চিকৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়। চিকিৎসার নামে অতিরিক্ত টাকাও নেয়া হয়। অতিরিক্ত টাকা দিতে না পারায় লাশও আটকে রাখা হয়। এসব ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। তাই এই খাতকে নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে শক্ত তদারকি জরুরী।