ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ও বিপুল পরিমাণ সার্জিক্যাল সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে এসব সামগ্রী জব্দ করে র্যা বের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থাপনায় নানা অসংগতির কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত টাস্কফোর্স এবং র্যাসব-৩ যৌথভাবে হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করে। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন র্যা ব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
অভিযান শেষে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ও টাস্কফোর্সের সদস্য উম্মে সালমা তানজিয়া সাংবাদিকদের বলেন, কোভিড আক্রান্ত রোগীদের যে প্রটোকল মানা উচিত, এই প্রতিষ্ঠানে অভিযানে এসে তারা দেখেছেন কোভিডের প্রটোকল মানা হচ্ছে না। এছাড়া মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব এবং করোনা ইউনিট একই জায়গায় স্থাপনা করা হয়েছে। এটা টাস্কফোর্সের নিয়মিত অভিযান উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, রোগীদের গুণগত যে সেবা দেয়া দরকার, তা তারা দিতে পারছে না।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, হাসপাতালটির ল্যাব থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট এবং চারটি অপারেশন থিয়েটার থেকে বিপুল পরিমাণ সার্জিক্যাল সামগ্রী তারা উদ্ধার করেছেন। যেগুলো আজ থেকে কয়েক বছর আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে।
তারা এসব জব্দ করেছেন।
সারোয়ার আলম বলেন, মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবে মাইক্রোবায়োলজি স্যাম্পলগুলো ৪৮ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা রাখার কথা। কিন্তু আট থেকে ১০ ঘণ্টা রেখে ফলাফল দিয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ফলাফল ৪৮ ঘণ্টার কথা উল্লেখ করা থাকে। এযাবৎকালে এই প্রতিষ্ঠানে যতগুলো মাইক্রোবায়োলজি রিপোর্ট তৈরি হয়েছে সবই ভুয়া রিপোর্ট বলেও দাবি করেন র্যা বের ম্যাজিস্ট্রেট।