কক্সবাজারের সমুদ্র থেকে ১৩ লাখ পিস ইয়াবা আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। আটক না হলে এসব ইয়াবা প্রায় ৬৫ কোটি টাকায় বিক্রি হতো বলে র্যাবের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সাম্প্রতিককালে একটি অন্যতম সবচেয়ে একটি বড় চালান আটকের ঘটনা বলে তিনি জানান।
র্যাব-১৫ এর কক্সবাজারের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদি হাসান বলছেন, ”মাদক পাচারকারীরা ভেবেছিল, সাগরে সিগন্যাল থাকায় সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা থাকবে না। তাই তারা বড় একটি চালান নিয়ে রওনা হয়েছিল। তবে সিগন্যাল থাকার পরেও শনিবার রাতে আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাগরে অভিযান শুরু করি।”
সাগরের ভেতরেও বিভিন্ন পয়েন্ট নানা নামে পরিচিত থাকে। সেরকম একটি এলাকায় সারারাত, দিনে অভিযান চালিয়ে রোববার বিকাল নাগাদ মাদকবাহী নৌকাটি আটক করা হয় বলে তিনি জানান। সেই নৌকা থেকে ১৩ লাখ পিস ইয়াবা, ১০ হাজার টাকা, মোবাইল ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়।
এই সময় দুইজন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয় বলে তিনি জানান। তাদের একজনের মংডু ও কক্সবাজারে বাড়ি রয়েছে। এই দুই বাড়িই ইয়াবা পাচারের কাজে ব্যবহৃত হতো বলে তিনি বলেন। আরেকজনের থাকতো চট্টগ্রামে। সে অনেক বছর আগে বাংলাদেশে এসেছে। এই ব্যক্তি পাচারের পর এসব ইয়াবা ঢাকায় পাঠানোর কাজ করতো বলে তিনি জানান।
শনিবার আরেকটি অভিযানে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সেই সময় দুইটি সোনার বারও উদ্ধার করা হয় এবং দুইজন রোহিঙ্গাসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
মিয়ানমারে উৎপাদনের পর সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা আসে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সময় জানিয়েছে। দুই বছর ধরে মাদক পাচারে কক্সবাজার এলাকায় বিশেষ অভিযানও পরিচালনা করা হচ্ছে।
যদিও এসব অভিযানের পরেও ঢাকা ও বিভিন্ন এলাকায় এখনো ইয়াবার মতো মাদকের বিক্রি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। বিবিসি