সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল জেলার সখীপুরে পেটে ছুরিকাঘাত ও মুখে বিষ ঢেলে দেওয়ার ২৫ ঘণ্টা পর খোরশেদ আলম (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সখীপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের হতেয়া বড়চালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এতে ২৫ ঘন্টা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার রাত সোয়া ১০ টায় মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই কৃষক মারা যান। নিহত ওই কৃষক হতেয়া বড়চালা গ্রামের মৃত মোকদম আলীর ছেলে। আর এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আবু হানিফের দায়ের করা মামলায় পুলিশ মামলার ১ নম্বর আসামি নিহতের আপন বড়ভাই মোকছেদ আলী (৬০) ও প্রতিবেশী ছানোয়ার হোসেনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছেন। আজকে শনিবার (২২ শে আগষ্ট) সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে ওই দুই আসামিকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠিয়েছেন পুলিশ।
মামলার বাদী নিহতের ছেলে আবু হানিফ ও সখীপুর থানা সূত্রে জানা যায়, “নিহত খোরশেদ আলমের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বড়ভাই মোকছেদ আলীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। স্থানীয় বাজার থেকে খোরশেদ আলম তার স্ত্রীর ওষুধ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর বড়ভাই মোকছেদ আলী ও সঙ্গে থাকা আরও তিনজন মিলে তাঁকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে সঙ্গে থাকা প্রতিবেশী ছানোয়ার হোসেন তাঁর পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। পরে ওই চারজনে মিলে তার মুখে জোরপূর্বক বিষ ঢেলে দেয়। তার আত্মচিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে রাতেই প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই তাঁকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার দুপুরে আবার তাঁকে মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত সোয়া ১০টায় খোরশেদ আলম মারা যান।”
নিহতের ছেলে মামলার বাদী আবু হানিফ ঘাতক চাচা ও দায়ীদের ফাঁসি দাবি করেন।
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল্লাহ বলেন, “লাশ মির্জাপুর থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে গ্রহণ করে সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামি দুইজনকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।”