করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতের মাধ্যমে আগামী ২৭ আগস্ট থেকে দেশে আরো ১৮ জোড়া ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল কবির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এসব ট্রেনের মধ্যে রয়েছে-চট্রগাম-সিলেট-চট্রগাম রুটের পাহাড়িকা/উদয়ন, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-ঢাকার এগার সিন্দুর প্রভাতী, ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটের যমুনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-ঢাকার এগার সিন্দুর গোধুলী, চট্রগ্রাম-ঢাকা-চট্রগ্রাম সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, চট্রগ্রাম-ঢাকা-চট্রগ্রাম চট্টলা এক্সপ্রেস, সান্তাহার-বুড়িমাড়ি-সান্তাহার করতোয়া এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটি-রাজশাহী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, খুলনা রাজশাহী-খুলনা সাগরদাঁড়ী এক্সপ্রেস, সান্তাহার-দিনাজপুর-সান্তাহার দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস, ঢালারচর-রাজশাহী-ঢালারচর ঢালারচর এক্সপ্রেস, চট্রগ্রাম-ঢাকা-চট্রগ্রাম ঢাকা/চট্রগ্রাম মেইল, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, ঢাকা-ঝারিয়া ঝাঞ্জাইল-ঢাকা বলাকা কমিউটার, সান্তাহার-লালমনিহাট-সান্তাহার বগুড়া কমিউটার, খুলনা-পার্বতীপুর-খুলনা রকেট এক্সপ্রেস এবং পার্বতীপুর-চিলাহাটি-পার্বতীপুর চিলাহাটি এক্সপেস।
রেল সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। পরবর্তীতে ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রী সংকটে দুই জোড়া ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে গত ১৬ আগস্ট নতুন করে আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ও এক জোড়া কমিউটার ট্রেন মোট ১৩ জোড়া ট্রেন নতুন করে চলাচল শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৭ আগস্ট থেকে আরও ১৮ জোড়া ট্রেন চালু হতে যাচ্ছে।
এদিকে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট আগের মতো অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। যাত্রার দিনসহ পাঁচ দিন পূর্বে আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা যাবে। যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণক্ষমতার শতকরা ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। আন্তঃনগর ট্রেনে সকল প্রকার স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে।
রেল সূত্র জানায়, রেলে সব মিলিয়ে ৩৫৫টি যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে আন্তঃনগর ট্রেন ৫০ জোড়া বা ১০০টি। করোনা পরিস্থিতিতে মার্চের শেষ সপ্তাহে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর নামমাত্র মালবাহী ট্রেন চলাচল করেছে। বাসস