নিজস্ব প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে সাত মাসের অন্তঃসত্তা নারী পোশাক কারখানার শ্রমিককে ধর্ষণ ও ধর্ষণের চিত্র ধারণের অভিযোগে উজ্জল মিয়া নামের এক যুবককে (৩২) গ্রেফতার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। এঘটনায় বাড়ির মালিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্ত উজ্জল মিয়া মানিকগঞ্জ জেলার নয়নকান্দি এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে। সে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের শামীমের বাড়ীর ভাড়াটিয়া। এ ঘটনায় গত শুক্রবার উজ্জল মিয়া, তাঁর বন্ধু মাহবুব ও বাড়ির মালিক সেলিমকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর রাতেই শ্রীপুর থানা পুলিশ উজ্জল মিয়াকে আটক করে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গার্মেন্টস্ শ্রমিক কয়েকবছর ধরে শ্রীপুরের মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামে স্বামীসহ সেলিম মিয়ার বাড়ীতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতো। বর্তমানে ৭মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ায় কারখানা থেকে ছুটিতে ওই ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। অভিযুক্ত উজ্জল মিয়া তার স্বামী বন্ধু হওয়ায় তাদের মধ্যে পরিচয় ও যাওয়া আসা ছিল। গত ৭জুলাই স্বামীর অনুপস্থিতে অভিযুক্ত উজ্জল গার্মেন্টস্ শ্রমিকের ভাড়া বাসায় তার খোঁজ নিতে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ধারণ করে। এঘটনা কারো নিকট প্রকাশ করলে ধারণ করা ভিডিও স্বামীকে দেখানোর ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। অন্তঃসত্বা অবস্থায় ওই গার্মেন্টস্ শ্রমিকের শারিরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সে তার স্বামীকে ঘটনা খুলে বললে অভিযুক্ত সেলিম ও মাহবুব মীমাংসা করার প্রস্তাব দেন।
তবে বাড়ির মালিক সেলিম জানান, তাকে ঘরের ভেতর আটকে রাখা, স্বীকারোক্তির ভিডিও ধারণ বা মীমাংসা করে দেয়ার কোন প্রস্তাব দেয়া হয়নি। গত তিনমাস যাবৎ আমার বাড়ির ভাড়া না দিয়েও বসবাস করছেন। তবে এলাকার কিছু লোকজনের উস্কানিতে তাকে এই মামলায় হয়রানি করতেই জড়ানো হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল রাতেই উজ্জলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।