ঢাকা: বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে লেবাননের সরকার। সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এসে পদত্যাগের এ ঘোষণা দেন। এরইমধ্যে দেশটির মন্ত্রীসভা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে অনলাইন বিবিসি।খবরে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকেই বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে বৈরুতে। বিস্ফোরণের আগে থেকেই সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশটির তরুণদের আন্দোলন চলছিল। গত বছর এ নিয়ে বড় ধরনের আন্দোলন দেখে লেবানন। তবে করোনা মহামারির কারণে এ আন্দোলনে ভাটা পরেছিল। কিন্তু সম্প্রতি বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের পর আবারো নতুন করে শুরু হয় আন্দোলন। এরইমুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হলেন বর্তমান শাসকরা।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বিস্ফোরণের জন্য দায়ী দেশটির রাজনৈতিক নেতাদের অবহেলা ও দুর্নীতি। গত কয়েকদিন ধরেই মুখে লেবাননের পতাকা রঙের মাস্ক পরে তারা দিকে দিকে সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছে। আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন সরকারি অফিসে।
রবিবার পার্লামেন্টের সামনে তৈরি পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশও বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পাল্টা কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। তবে আন্দোলনকারীদের কোনওভাবেই থামাতে পারছে না পুলিশ।বিক্ষোভকারীদের দাবি, সরকারকে এখনই গদি ছাড়তে হবে। নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে বিপ্লব করতে হবে। বিক্ষোভের মুখে এর আগে তিনজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন। সর্বশেষ দেশটির আইনমন্ত্রীও সোমবার পদত্যাগ করেন। তবে এতেও বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে সোমবার দুপুরেও নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরইপ্রেক্ষিতে পদত্যাগে বাধ্য হল লেবানন সরকার।