দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের তাণ্ডব চলছে। এতে দিশাহারা দেশের মানুষ। এর মধ্যে উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ৩১টি জেলা টানা ৩ দফা বন্যাকবলিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ আশেপাশের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাপক শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ১৫৩ উপজেলার ৯০৮ ইউনিয়নের ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৮১৯ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও বেড়েছে দুর্ভোগ। ত্রাণের জন্য এখন সর্বত্র হাহাকার চলছে।
মানবেতর জীবনযাপন করছেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। বিশেষ করে শিশুখাদ্যের চরম সংকট চরমে। অনেকেই বন্যার পানিতে বাড়িঘর হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছেন। বাঁধ কিংবা আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় ঘরের চালা ও গাছের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন কেউ কেউ। ক্ষতিগ্রস্ত অনেক এলাকায় এখনো পৌঁছায়নি ত্রাণ। যেসব এলাকায় সরকারি ত্রাণ পৌঁছেছে তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। প্রায় এক মাস ধরে পানির মধ্যে থাকায় অনেকের শরীরের বিভিন্ন অংশে চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বন্যার পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে অহরহ। তবে অন্যান্য সময়ে বিভিন্ন এনজিও বানভাসিদের জন্য কাজ করলেও এ বছর তাদের মাঠে দেখা যায়নি। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বন্যায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির এখনো উন্নতি হয়নি। এদিকে কোরবানির ঈদ এলেও বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের ঈদ নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও পদ্মা নদীপাড়ের মানুষ চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতিদিনই ক্ষতিগ্রস্ত এবং পানিবন্দি লোকের সংখ্যা বাড়ছে।
বন্যাকবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, দুই যুগেরও বেশি সময় পর এ বছরের বন্যা স্থায়ী রূপ ধারণ করেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। বাড়িঘর রাস্তাঘাট সব ভেঙে যাচ্ছে। পানির স্রোতে ভাসিয়ে নিয়েছে আসবাবপত্র। এক কাপড়ে অনেকেই পানির মধ্যে বাস করতে হচ্ছে। এছাড়া যমুনা ও পদ্মাসহ বিভিন্ন নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বসতঘরসহ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অনেক মানুষ মুহূর্তেই সহায়-সম্বলহীন হয়ে পড়ছেন। একদিকে করোনা অন্যদিকে বন্যা। এই দু’টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ একসঙ্গে আঘাত হানায় এর সমাধানে সরকার এগিয়ে এলে মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হবে। এদিকে চলতি সপ্তাহে রাজধানীর আশেপাশের তিনটি নদীসহ সারা দেশের ১৯টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে ঢাকার নিম্নাঞ্চল স্বল্প থেকে মাঝারি ধরনের বন্যাকবলিত হওয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। জানা যায় পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, ঘাঘট, গুড়, আত্রাই, ধলেশ্বরী, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, বালু, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, টঙ্গী খাল, কালীগঙ্গা, আড়িয়াল খাঁ, মেঘনা ও তিতাস নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নাটোর, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নওগাঁ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, ঢাকা, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লালমনিরহাট, নীলফামারী, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, নাটোর, টাঙ্গাইল, নওগাঁ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ঢাকা জেলার আশেপাশের নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা সিটি করপোরেশন সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসমূহের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হতে পারে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া মানবজমিনকে বলেন, বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা আগের থেকে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আগামী মাসের প্রথম দিকে বন্যার পানি কমতে শুরু করতে পারে। বুধবার পর্যন্ত ১৮টি জেলায় বন্যার পানি রয়েছে। ১০১টি জায়গার পানি সমতলের মধ্যে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৭টি, কমেছে ৪৯টি ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টি। এর মধ্যে বিপদসীমার উপরে নদীর সংখ্যা ১৭টি। বিপদসীমার উপরে থাকার সংখ্যা ২৭টি।
তিনি জানান, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদ-নদীসমূহের পানি কমবে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা ও পদ্মার পানি স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা ঢাকা জেলার আশেপাশের জেলাগুলোতে পানির পরিমাণ স্থিতিশীল থাকতে পারে।
ওদিকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে জানান, কুড়িগ্রামে কমতে শুরু করেছে সব ক’টি নদীর পানি। ফলে উন্নতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। নদী অববাহিকার পানিবন্দি পরিবারগুলোর মধ্যে অনেকেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন। করোনা পরবর্তী বন্যাদুর্গতদের মাঝে সরকারি সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। বানভাসি মানুষদের সহায়তায় সরকার জেলার ৪ লাখ ২৮ হাজার ৫২৫ জনকে ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) এর আওতায় ১০ কেজি করে চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে। ঈদ এবং বন্যা উপলক্ষে অতি দরিদ্র পরিবারের মাঝে এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করীম জানান, বন্যাদুর্গতদের ঈদ উপলক্ষে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৫২৫টি পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরণ চলছে। যা গতকাল বুধবার বিতরণ শেষ হয়। এছাড়া দু’দফা বন্যায় ৪৯২ দশমিক ৭২ টন জিআর চাল, জিআর ক্যাশ ৪৯ লাখ ৬৮ হাজার ৫শ’ টাকা, শুকনা খাবার ৬ হাজার প্যাকেট, শিশু খাদ্য ৪ লাখ টাকার, গো-খাদ্য ৪ লাখ টাকার বিতরণ করা হয়। এর আগে করোনা মোকাবিলায় ২ লাখ ৭১ হাজার ২০০ জন কর্মহীন দুস্থ পরিবারের মাঝে ২ হাজার ৭১২ টন জিআর চাল, ৪২ হাজার ৫৪৭টি পরিবারের মাঝে এক কোটি ২৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা জিআর ক্যাশ এবং ১৫ হাজার ৯৩৮টি পরিবারের মধ্যে ৫১ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়। এর বাইরে ২০টি শ্রেণি-পেশার ৯০ হাজার মানুষের মাঝে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জনপ্রতি আড়াই হাজার টাকা প্রদান করা হয়। যার পরিমাণ ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
তিনি আরো বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সুবিধাভোগী পরিবার ৪৬ হাজার ৫৩৯টি, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় এক লাখ ২৬ হাজার ৯৩৪টি, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় এক লাখ ৪১ হাজার ৮৬৫টি পরিবার রয়েছে। এছাড়া কুড়িগ্রাম, উলিপুর ও নাগেশ্বরী পৌরসভার ১৭ হাজার সুবিধাভোগীকে বিশেষ ওএমএস-এর আওতায় মাসে ২০ কেজি করে চাল ১০ টাকা মূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। অথচ এনজিওগুলো মাঠ পর্যায়ে কাজ করার দাবি করলেও দুর্যোগে অসহায় মানুষর পাশে দাঁড়ায়নি।
উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এ দুটি নদ-নদীর পানি এখনো বিপদসীমার অনেক উপরে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে ত্রাণ নিয়ে হরিলুট, অর্থ লেনদেন ও অপ্রতুলতার কথা জানিয়েছেন বানভাসি মানুষ। জেলা প্রশাসনের দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, সাদুল্যাপুর, গোবিন্দগঞ্জ ও সদর উপজেলাসহ ৬টি উপজেলার ৪৪টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব এলাকার ২ লাখ ৫০ হাজার ৭৮৬ ব্যক্তি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যার কারণে ৩৫ হাজার ৫৫১টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো বানভাসি মানুষ তাদের ঘরবাড়িতে ফিরে যেতে পারেননি। কারণ হিসেবে তারা জানান তাদের ঘরবাড়িতে এখনো হাঁটু থেকে বুক পর্যন্ত পানি রয়েছে। বানভাসি পানিবন্দি প্রায় লক্ষাধিক পরিবার এই দ্বিতীয় দফা বন্যার কারণে কাহিল অবস্থার মধ্যে পড়েছে। একে তো চারদিকে পানি আর পানি। যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। পানির মধ্যে থেকে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। কোনো ওষুধপত্র পাচ্ছেন না। জেলা ত্রাণ দপ্তর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ৫১০ টন চাল, ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৫ হাজার ৬৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে বুধবার ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৫৪ সে.মি. উপরে এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৩৬ সে.মি. উপর দিয়ে বইছিল।
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল থেকে জানান, টাঙ্গাইলে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গতকাল ভোরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামের পুংলী নদীর বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে ওইসব এলাকার ফসলি জমি এবং রাস্তা তলিয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বাঁধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।
ঘারিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক বলেন, বাঁধের প্রায় দুইশ ফুট ভেঙে গেছে। আস্তে আস্তে ভাঙার পরিধি বাড়ছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বন্যার্তদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ভাঙা বাঁধের বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, বাঁধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ওই বাঁধে গত চার পাঁচদিন যাবত কাজ চলমান ছিল। গত রাতেও কাজ করা হয়েছে। পরে হঠাৎ করেই বাঁধটি ভেঙে যায়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
টাঙ্গাইল জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস থেকে দেয়া তথ্যানুযায়ী জেলার ১০টি উপজেলার ৬৯টি ইউনিয়নের ৫৫৮টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। জেলায় ৪৩ হাজার ৩০০টি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় চার লাখ লোক। জেলায় মোট ৩৯টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এতে আশ্রয় নিয়েছেন ৩ হাজার ২০১ জন। বন্যাদুর্গত এলাকায় ১১৩টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
বন্যাকবলিত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে বন্যা সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসক থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। অবশ্য সেগুলো পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন বানভাসি মানুষ।
নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। লাখো পানিবন্দি মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী, কলমাকান্দার উদ্ধারখালী, গণেশ্বরী, বারহাট্টা, সদর উপজেলার কংশ, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুড়ীর ধনু নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ওই সমস্ত নদীর পানি বেড়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত প্রায় এক মাস ধরে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার খালিয়াজুড়ী, মোহনগঞ্জ, মদন, কলমাকান্দা, সদর উপজেলা, বারহাট্টা, দুর্গাপুরে ৩৫০ টন চাল, নগদ ৭ লাখ টাকা, শিশুখাদ্যের জন্য এক লাখ টাকা, গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ২৯ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।