ছবি: কাপাসিয়ায় মাসুদ পারভেজের বাড়ি।
গাজীপুর: গাজীপুর জেলার স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ ৮ম পর্ব। স্বাস্থ্যবান গাজীপুর শিরোনামের এই ধারবাহিক প্রতিবেদন সাধারণ মানুষষের মাঝে ব্যপক আগ্রহ তৈরী করেছে। ইতোমধ্যে জেলার সকল উপজেলার সরেজমিন রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টের আলোকে সরকারী ব্যবস্থাও হয়েছে ও হচ্ছে সাধ্যমত। আশা করি সিরিজ চলাকালীন সময়ে প্রশাসন সারা জেলায় শুদ্ধি অভিযান করে গাজীপুরকে বিপদমুক্ত করবে।
অসুন্ধান বলছে, গাজীপুর জেলায় সরকারী অনুমোদন প্রাপ্ত কতগুলো প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়গনষ্টিক সেন্টার, ডেন্টাল ক্লিনিক ও চক্ষু হাসপাতাল সহ বেসরকারী চিকিৎসালয় আছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কারণ যে গুলোর অনুমোদন দিয়েছে সেগুলোর মধ্যে অধিকাংশই চলতি অর্থ বছরে নবায়নপ্রাপ্ত নয়। এমনকি গত অর্থ বছরের নবায়নের জন্য আবেদন করা অনেকেই এখনো লাইসেন্স পায় নি। এর কারণ যদি পর্যাপ্ত কাগজপত্রের ঘাটতি হয় তবে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে কি করে? এই প্রশ্ন জনমনে সন্দেহের জন্ম দিবেই।
এ ছাড়া রিজেন্ট হাপসাতালের এমডির বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া হওয়ায় তার সহযোগীদের চিহিৃত করতে কোন উদ্যোগ দৃশ্যমান নেই। শাহেদ পলাতক অবস্থায় কোন সিন্ডিকেট তাকে কাপাসিয়া এনেছিল তাও জানা হয়নি। রিজেন্ট হাপসাতালে গাজীপুর থেকে কতগুলো রোগী গেছে, কারা কারা করোনা সনদ পেয়েছেন, না পাননি, তাও জানা নেই।
গোপন সূত্র বলছে, গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন অফিস এই ধারাবাহিক সিরিজ প্রকাশের পর পরই সকল প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত কাগজপত্র করতে চাপ দিয়েছেন। তারা চাচ্ছেন, কাগজপত্র হওয়ার পর হয়ত অভিযান করবেন। এমন যদি হয়, এই দায় কে নিবে? যতদিন কাগজপত্র ছাড়া চিকিৎসা চলছে সেই দিনগুলোর অংক কে করবে? ওই অবৈধ সময়ে যদি কোন রোগী ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে বা মারা গিয়ে থাকেন, তবে ওই দায় কার? প্রশ্নের জবাব মিলবে না কোন দিন।
তাই সকলের দাবী এখনি গাজীপুর জেলায় এক যোগে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করে গাজীেপুরকে স্বাস্থ্যবান করা উচিত। না হয় ভুক্তভোগীদের অনাকাংখিত কষ্ট বেড়েই চলবে।
এ ছাড়া ভুয়া করোনা রিপোর্টে গাজীপুরে কতগুলো মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, তা চিহিত করে তাদের দ্রুত স্বাস্ব্যবান করা উচিত। না হলে এর দায়ভারের আকার বেড়ে যাবে বহুগুণ।