গাজীপুর: গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হাসপাতালের সরকারী বাসায় না থেকে নিজ বাড়িতে থাকেন। হাসপাতালে অনিয়মিত থেকে নিয়মিত থাকেন প্রাইভেট চেম্বারে। আরএমওর এই সুযোগে দু্ই জন ডাক্তারও হাপসাতালে আসেন না বলে জানা গেছে। তবে মোবাইল ফোনে সব কিছু ম্যানেজ করেন আরএমও বলে দাবী করেন তিনি।
সরেজমিন কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, আবাসিক মেডিকেল অফিসার নেই। ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি হোন্ডার পিছনে বসে হাসপাতাালে আসেন। অতঃপর তার কক্ষে বসেই বলেন, আমি চেম্বারে ছিলাম। আপনাদের ফোন পেয়ে এসেছি। তবে বাড়িতে চলে গেলে অবশ্য আসতাম না। হাসপাতালে নিয়মিত না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি মোবাইলে সব ম্যানেজ করি। কোন অসুবিধা হয় না। এই হাসপাতালেই তিনি ২০১৩ সাল থেকে বিভিন্ন পদে থেকে এখন আরএমও হয়েছেন। তার বাড়ি নিকটবর্তি
মির্জাপুরে বলে জানান তিনি। ২৪ ঘন্টা পাওয়া যাবে বলে হাসপাতালে থেকেই চাকুরী করার কথা থাকলেও বাড়িতে থেকেই হাপসাতালে চাকুরী করছেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাজমুন নাহার ইতি।
কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) ডাঃ নাজমুন নাহার ইতি বলেন, আমার হাসপাতালে ২০ জন ডাক্তার থাকার কথা। বর্তমানে ১৬জন থাকলেও দুই জন আসেন না। ফলে এখন অপারেশন বন্ধ রয়েছে। তবে হাসপাতালের সার্বিক অবস্থা ভালো বলে দাবী করেন তিনি।
আর এমওর দেয়া দুটি ভিজিটিং কার্ডে দেখা যায়, তিনি কালিয়াকৈর সেন্ট্রাল হাসপাতাল ও গোড়াই এলাকায় শিকদার ফার্মেসীতে চেম্বার করেন।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আরএমও বলেন, কালিয়াকৈরে ১৪টি প্রাইভেট হাসপাতাল রয়েছে। এ গুলোর কাগজপত্র আপডেটের কাজ চলছে।