বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের পুত্র ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোহেল তাজ আজ সন্ধ্যা সাতটায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে (ফেবু) দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন। এ নিয়ে ফেবুতে ঝড় বইছে।
১০ ঘন্টা আগে ওই কর্মকর্তার ফেবুতে দেয়া এ বিষয়ে সবশেষ পোস্ট থেকে প্রতীয়মান হয় যে, সেখানে ৯৩৩ লাইক, ৪১ কমেন্টস এবং ৭৬টি শেয়ার পড়েছে। অন্যদিকে সন্ধ্যা ৭টায় সোহেল তাজের ফেবু থেকে দেখা যায়, ভিডিওটি ১ লাখের বেশি দর্শক দেখেছেন। এ সংক্রান্ত ফেবু পোস্টে (রাত ৯:৪০ পর্যন্ত) ৪৭৯ কমেন্টস, ৫ হাজারেরে বেশি লাইক ও প্রায় ৩শ শেয়ার হয়েছে।
গত ২৩ জুলাই তাজউদ্দীন আহমদের ৯৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সেতারা’ (সেন্টার ফর তাজউদ্দীন আহমদ রিসার্চ এন্ড এক্টিভিজম) এর উদ্যোগে এক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় । এই প্রেক্ষাপটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাজউদ্দিন আহমেদের ঐতিহাসিক ভূমিকা আলোচনায় আসে।
এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন যে, ’জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর অপচেষ্টা আর তাজউদ্দীনকে শেখ মুজিবের থেকে দক্ষ প্রশাসক বা নীতিনির্ধারক দেখানোর কৌশল একই সূত্রে গাঁথা।’
ব্যারিস্টার ফরহাদ এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে ম্লান করতেই ‘বিকল্প ইতিহাস’ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন। তার ভাষায়, ‘তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা শারমিন আহমেদ ও তার সহকারী মঈদুল হাসানের দুইটি ইতিহাস বিকৃতকারী বই থেকেই এই বিকল্প ইতিহাস পাওয়া যায়।’’
ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সোহেল তাজ গতকাল ভেরিফায়েড ফেসবুকে তাজউদ্দিন ও জোহরা তাজউদ্দিনের পরিবারের পক্ষে একটি ভিডিও বিবৃতি দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জনুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পান ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদকে যোগদানের তারিখ থেকে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল অথবা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে সরকারের উপসচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হলো।
সোহেল তাজ আজ তাঁর বিবৃতিতে বলেন, আমরা খুবই বিস্মিত ও দুঃখিত হলাম, যখন শাহ্ আলী ফরহাদ নামের এক ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস আমাদের নজরে আসে। (আমরা তার বাপ্/দাদা পরিবার বা ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ভদ্রতার খাতিরে এখানে উল্লেখ করছি না) তার স্ট্যাটাসে তিনি এই বিভ্রান্তিমূলক ও আপত্তিকর লেখা লিখেছেন।
সোহেল তাজ প্রশ্ন তুলেছেন, ’স্বাভাবিকভাবেই জনমনে প্রশ্ন আসে, এটা কি তার ব্যক্তিগত অভিমত? এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কি এই ধরনের মতামত সমর্থন করেন? আর যদি সমর্থন না করেন, তাহলে আমরা আশা করবো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই মর্মে একটি বিবৃতি দেয়া হবে।’
শাহ আলী ফরহাদের বিবৃতি-
শাহ আলী ফরহাদের ফেসবুকে একই বিষয়ে দুটি আলাদা পোস্ট পাওয়া যায়। দুটি বিবৃতিই নিচে তুলে ধরা হলো:
১. ‘বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের প্রশংসা করতে গিয়ে যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে খাটো করেন, অর্ধ সত্য বা মিথ্যা কিছু মিথের রেফারেন্স দেন, তারা আদতে তাজউদ্দীন আহমদেরও শুভাকাঙ্খী না। জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর অপচেষ্টা আর তাজউদ্দীনকে শেখ মুজিবের থেকে দক্ষ প্রশাসক বা নীতিনির্ধারক দেখানোর কৌশল একই সূত্রে গাঁথা। মোট কথা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর লেজেন্ডকে ডাইলুট করাই এদের লক্ষ্য। এই অপচেষ্টা রুখতে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নাই। একে একে বঙ্গবন্ধুর সময়কার সবাই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। নতুন প্রজন্মকে অবশ্যই সামনে আসতে হবে এই গুরুদায়িত্ব পালনে।’
২.“তাজউদ্দীন আহমদ আমৃত্যু নীতির প্রতি আপোষহীন ছিলেন, কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নীতি বিচ্যুতি ঘটেছিলো”, ‘২৫শে মার্চ তাজউদ্দীন সাহেব বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষণার কথা বললে বঙ্গবন্ধু তাকে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ইমোশনাল ছিলেন, দক্ষ নেগোশিয়েটর ছিলেন না এর জন্য পাকিস্তান, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক কেউই তাকে ভয় পেতেন না, পেতেন তাজউদ্দীনকে“ – এই ধরণের কথা শুধু আপত্তিকরই হয়, ইতিহাস বিকৃতিরও সামিল। তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা শারমিন আহমেদ ও তার সহকারী মঈদুল হাসানের দুইটি ইতিহাস বিকৃতকারী বই থেকেই এই বিকল্প ইতিহাস পাওয়া যায়। মজার ব্যাপার তাজউদ্দীন আহমদ নিজে কখনো জীবিত থাকতে এরকম কোনো দাবিই করেন নাই। বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার আনুগত্য ছিল প্রশ্নাতীত।
এই রেফারেন্সগুলোর একটিও যখন কেউ তাজউদ্দীন আহমদকে সম্মান দেখাতে গিয়ে ব্যবহার করে তখন সেও জেনে না জেনে ইতিহাস বিকৃত করে। আর এখানেই আমাদের সমস্যা। যেমন পরশুদিন দেখলাম তাজউদ্দীন আহমদের জন্মবার্ষিকীতে ভুট্টোর সেই কথিত মন্তব্য অহরহ শেয়ার হতে। যেই মানুষটা প্রায় ৩ দশক পাকিস্তানের একের পর এক মিলিটারি রেজিমদের দৌড়ের উপর রাখলেন, ভুট্টো তাকে এতো তাচ্ছিল্য করবে এই কথা তো ভুট্টো নিজের হাতে লিখে গেলেও বিশ্বাস করতাম না। আরেকজন তাজউদ্দীন আহমদ সম্পর্কে লিখলো ‘স্বাধীন বাংলাদেশের একমাত্র নেতা যিনি আমৃত্যু নীতির প্রতি আপোষহীন ছিলেন’ – তার মানে কি বঙ্গবন্ধু বিকে গিয়েছিলেন ব্যক্তি বা অন্য স্বার্থে? কোনো দরকার আছে অতি ইমোশনাল হয়ে এই রকম মন্তব্যের? যাই হোক, প্রতিবাদ করলাম। পরিষ্কারভাবেই বললাম তাজউদ্দীন আহমদকে সম্মান দেখাতে জাতির পিতার লেগেসিকে খাটো করার তো কোনো দরকার নেই।
কারণ বাঙালিদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর একচ্ছত্র আধিপত্য কমাতে তার লিডারশিপ স্কিল নিয়ে একটি নয়, কয়েকটি স্বার্থানেষী মহল স্বাধীনতার আগ থেকেই প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করছে এবং আজ অব্দি তারা থামেন নাই। ভাসানী, জিয়া, তাহের নামক অনেককেই সেই জায়গায় বসানোর চেষ্টার করা হয়েছে। পঁচাত্তরের বেনেফিসিয়ারিরা বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে যেই প্রোপাগান্ডাটা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেছে তা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ভালো প্রশাসক ছিলেন না। দেশ চালাতে ব্যর্থ ছিলেন। কেউ যখন অন্য কাউকে পারদর্শী দেখানোর জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রশাসনিক দক্ষতা বা জ্ঞান নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি করে তখন কিন্তু খুনিদের মৃতপ্রায় প্রোপাগান্ডাই নতুন শক্তি পায়।
তাই লিখলাম যারা এই ধরণের ভুলভাল তথ্য দিয়ে তাজউদ্দীন আহমদের মহত্ব দেখাতে চাচ্ছেন তারা কিন্তু পক্ষান্তরে তাদের পারপাসই সার্ভ করছেন যাদের লক্ষ্য বঙ্গবন্ধু নামক আইডিয়ার শক্তি ক্ষয় করা। কারণ এই পলিটিকাল জায়ান্ট এর আশেপাশেও তাদের নেতারা দাঁড়াতে পারে না। অতিবিপ্লবী বাম, ডান সবারই সমস্যা ওই একজনকে নিয়েই। জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক নামক অপতত্বের জন্ম এই কারণেই। তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় চার নেতার একজন, জাতির পিতার আস্থাভাজন ও ঘনিষ্ট সহচর, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক – তার এই পরিচয়ের জন্যই তাকে বাঙালিদের, বাংলাদেশিদের আজীবন শ্রদ্ধা করতে হবে। সাথে শ্রদ্ধা দেখাতে হবে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম সহ বাকি তিন জাতীয় নেতাকেও। বঙ্গবন্ধুর খুনি চক্র জানতো এদের একজনও বেঁচে গেলে বঙ্গবন্ধুর দেশ নির্মাণ প্রকল্প অব্যাহত থাকতো। বঙ্গবন্ধুর নীতি অনুযায়ীই দেশ চলতো। তাই চারজনকেই প্রাণ দিতে হলো।
কিন্তু আপনারা কেউ কেউ এই সরল বিষয়টাকে জটিল করে ফেললেন। কয়েকজন সম্মানিত মানুষও যুক্তি তর্কে না এসে শিশুসুলভ চিল্লাচিল্লি করলেন, আজে বাজে ভাষা ব্যবহার করলেন। বঙ্গবন্ধু আর তাজউদ্দীন আহমদ কে নাকি আমি মুখোমুখি দাঁড় করালাম। আমি দাঁড় করালাম নাকি অতিআবেগী যারা এসব অর্ধ সত্য বা মিথ্যা রেফারেন্স দেয় তারা মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে? আমি যেই দোষের প্রতিবাদ করলাম আমাকে সেই দোষেই দোষী করা হচ্ছে?
আবারো বলছি তাজউদ্দীন আহমদকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে। কিন্তু কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধুকে খাটো করে নয়। নেতা একজনই হয়। বাংলাদেশের ফাউন্ডিং ফাদার একজনই। বলতে পারেন তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন তার ডান হাত।
ইতিহাস বিকৃতি করে কাউকে সম্মান দেখাতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার অপচেষ্টার প্রতিবাদ আমি করেছি। সেটা যদি অপরাধ হয় আমি অপরাধী। আমার অবস্থানে আমি অনঢ় থাকলাম।’’
সোহেল তাজের বিবৃতি
উল্লিখিত বিবৃতির উত্তরে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ নিচের বিবৃতি দেন:
আমি সোহেল তাজ, তাজউদ্দীন আহমদ এবং জোহরা তাজউদ্দীনের পরিবারের পক্ষে আপনাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিচ্ছি।
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ: করছি।
গত ২৩ জুলাই আমাদের বাবা তাজউদ্দীন আহমদের ৯৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সেতারা’ (সেন্টার ফর তাজউদ্দীন আহমদ রিসার্চ এন্ড এক্টিভিজম) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় ভার্চুয়াল আলোচনা, পাশাপাশি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পত্র-পত্রিকায় তার কর্ম জীবন এবং অপরিসীম অবদান সম্পর্কে আলোচনা তুলে ধরা হয়।
অতি দুঃখের সাথে আমরা লক্ষ্য করলাম যে, কিছু স্বার্থন্নেষী মহল অসৎ উদ্দেশ্যে এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষে অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তারা বলছেন – তাজউদ্দীন আহমদ, তার দেশপ্রেম, এবং দেশের প্রতি তার অপরিসীম অবদান নিয়ে অলোচনা করার অর্থ নাকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটাক্ষ করা।
উল্লেখ্য যে, আমাদের জানা মতে, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত যে সকল আলাপ-আলোচনা ও লেখালেখি হয়েছে, সেখানে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কোনো ধরনের কটুক্তি দৃশ্যমান হয়নি।
বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতির জনক, তিনি জাতির পিতা, এই নিয়ে কোনো সন্দেহ বা বিতর্ক থাকতে পারেনা, অবকাশ নেই। বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্য I যতদিন পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি এবং জাতির পিতা হিসাবে স্বর্ণোজ্জ্বল আলোয় তিনি আলোকিত থাকবেন I
আমরা খুবই বিস্মিত ও দুঃখিত হলাম, যখন শাহ্ আলী ফরহাদ নামের এক ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস আমাদের নজরে আসে। (আমরা তার বাপ্/দাদা পরিবার বা বেক্তিগত বিষয় নিয়ে ভদ্রতার খাতিরে এখানে উল্লেখ করছি না) তার স্ট্যাটাসে তিনি এই বিভ্রান্তী মূলক ও আপত্তিকর লেখা লিখেছেন।
এখন বিষয় হচ্ছে যার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব প্রচার করা হচ্ছে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি পদে কর্তব্যরত আছেন। স্বাভাবিকভাবেই জনমনে প্রশ্ন আসে, এটা কি তার ব্যক্তিগত অভিমত? এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কি এই ধরনের মতামত সমর্থন করেন? আর যদি সমর্থন না করেন, তাহলে আমরা আশা করবো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই মর্মে একটি বিবৃতি দেয়া হবে। এছাড়াও, যদি এটা কোনো ব্যক্তিগত অভিমত হয়ে থাকে, তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের খতিয়ে দেখা উচিত এইখানে তার কোনো ব্যক্তিগত অসৎ উদ্দেশ্য আছে কিনা। কারন এসব উস্কানিমূলক কথাবার্তা তারই ইংগিত দেয়।
পাশাপাশি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গবেষণা শাখা CRI এর প্রধান হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরকম অভিমত প্রকাশের মাধ্যমে তিনি সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন, বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করছেন এবং বঙ্গবন্ধু ও সোনার বাংলার অবমাননা করছেন। আর যদি আসলেই ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করতে হয় সঠিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে ইতিহাসের কাছে যেতে হবে I আমরা মনে করি জাতির স্বার্থে উন্মুক্ত আলোচনা, উন্মুক্ত প্রবাহের মাধ্যমে তা করা প্রয়োজন I যেখানে সংশ্লিষ্ট সকলের অংশ গ্রহণ থাকবে I