রাতুল মন্ডল নিজস্ব প্রতিনিধি: গাজীপুরে শ্রীপুরে পিক-আপ চালক কর্তৃক ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে কাওরাইদ ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিন কর্তৃক ফের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী পোশাক শ্রমিক।
এঘটনায় শনিবার ওই পোশাক শ্রমিক বাদী হয়ে কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য ও উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আঃ হেকিমের ছেলে কলিম উদ্দিন (৪০) এবং তার পিক-আপ চালক একই গ্রামের আঃ খালেকের ছেলে পারভেজ আহম্মেদ (২৮) এর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশ শনিবার দুপুরে পিক-আপ চালক পারভেজকে গ্রেপ্তার করেছেন।
ভিকটিম গার্মেন্টস্ শ্রমিক ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরি করেন। কর্মস্থলে যাওয়া আসার পথে পারভেজের সাথে পরিচয় ও নয় মাস যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ১৮জুলাই (শনিবার) সন্ধ্যায় পারভেজের বসত বাড়িতে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং পরে ভিকটিমকে বাড়িতে রেখে পারভেজ পালিয়ে যায়। পরদিন তাঁর কোন খোঁজ না পেয়ে ওই গার্মেন্টস শ্রমিক পারভেজের অপেক্ষায় বাড়িতে অবস্থান করতে থাকেন। ১৯জুলাই রাত ৮টার দিকে পিক-আপ মালিক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিন তার চালক পারভেজের বাড়ি গেলে তাকে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলেন ভিকটিম। সবকিছু শুনে পারভেজের বিচার ও তার সঙ্গে বিয়ে করিয়ে দিবে বলে সেখান থেকে ভিক্টিমকে কলিম উদ্দিন মেম্বার তার মোটরসাইকেলে তুলে প্রায় দুই কিলোমিটার দক্ষিণে গজারী বনের ভেতরে পরিত্যাক্ত বাড়ির রান্না ঘরের নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
ভিক্টিম জানান, মেম্বার কলিম উদ্দিন ধর্ষণ শেষে তাকে ২০হাজার টাকার দেয়ার কথা বলে। এতে রাজি না হওয়ায় তিনি তাকে মারধর করেন। পরে ঘটনাটি কাউকে বললে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান কলিম উদ্দিন।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিম পোশাক শ্রমিক বাদী হয়ে কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য কলিম উদ্দিন (৪০) এবং তার পিক-আপ চালক পারভেজ আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। শনিবার দুপুরে নয়া পাড়া এলাকা থেকে পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।